চট্টগ্রাম: স্বাধীনতা দিবসের ৫২ বছর পার হলেও বাংলাদেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই, গণতন্ত্রনে নেই, ভোটার অধিকার নেই, সর্বোপরি মানবাধিকার বলতে কিছুই নেই অভিযোগ করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘আছে শুধু একদলীয় শাসন ব্যবস্থা। এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশের মানুষ তাদের সব অধিকার হারিয়ে ফেলেছে। একদলীয়ভাবে চলছে দেশ। জনগণ ভোট কি জিনিস ভুলে গেছে। এ সরকারের অধীনে যে সব ভোট হয়েছে, সবগুলো দিনের ভোট রাতে হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বন্দী করে রেখেই ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, নির্বাচনে বিরোধী দলীয় অসংখ্য প্রার্থীদের কারাগারে বন্দী রেখেই এ সরকার একদলীয়ভাবে ইভিএম পদ্ধতিতে ডিজিটাল কারচুপি মাধ্যমে রাতারাতি সরকার দলীয় সাংসদ নির্বাচিত হয়েছে।’
রোববার (২৬ মার্চ) স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগ র্যালী পূর্বক সমাবেশ শেষে প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত বিপ্লব উদ্যানে পুষ্পস্তবক অর্পণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সভাপতির বক্তৃতায় শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, ‘আমাদের দেশপ্রেমী মুক্তিযুদ্ধরা যে লক্ষ্যে এ দেশ স্বাধীন করেছে, আজ স্বাধীনতার ৫২ বছর পার হলেও অর্জনশূন্য কোটায়। এ সরকার একদলীয় এক পেশিভাবে দেশ চালাচ্ছে। অর্থনীতি সমৃদ্ধ বাংলাদেশকে ধংস করে দিয়েছে। দুর্নীতি ও দুঃশাসনের মধ্য দিয়ে এ আওয়ামী লীগ সরকার ১৪ বছর পার করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে তলা বিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছ। দুর্নীতি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দুর্ভিক্ষের ধারপ্রান্ত প্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং নিজেই বলেছিলেন, ২৩ সালে দুর্ভিক্ষের প্রস্তুতি নিতে। এতে বুঝা যায়, রমজান শুরু হওয়ার সাথে সাথে প্রতিটি জিনিসের দাম আকাশচুম্বী। প্রতিটি জিনিসের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়-ক্ষমতার ঊর্ধ্বে। এ স্বাধীনতা দিবসে আমাদের শপথ দিতে হবে- এ দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা, ভোটাধিকার, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে ও খালেদা জিয়াকে মুক্তি করে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’
বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এম নাজিম উদ্দিন বলেছেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ দেশের সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে।দেশের সর্বনাশের জন্য আওয়ামী লীগই যথেষ্ট। এ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই, নিরপেক্ষ সরকারসহ দশ দফা বাস্তবায়নে বিএনপির আন্দোলন অব্যাহত আছে। জনগনকে সাথে নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে এ ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটাতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচির আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নেতৃত্ব স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে ব্যর্থ হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দাবিদার আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধ করেনি। মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মধ্য দিয়ে। এটাই হচ্ছে প্রকৃত ইতিহাস। আওয়ামী সরকার সর্বক্ষেত্রে মিথ্যা মনগড়া ইতিহাস জতির সামনে উপস্থাপন করছে। নতুন প্রজন্মের কাছেও মিথ্যা ইতিহাস প্রচার করছে ক্ষমতাসীনরা। আওয়ামী লীগ কথায় কথায় স্বাধীনতার চেতনার কথা বলে। যারা দেশের গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ভোটাধিকার, মানবাধিকার কেড়ে নিয়েছে, জনগনের টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে, তাদের মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা মানায় না।’
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এমএ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক এসকে খোদা তোতন, কাজী বেলাল উদ্দিন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আনোয়ার হোসেন লিপু, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম,মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, শ্রমিক দলের শেখ নূরউল্লাহ বাহার, যুবদলের সদস্য সাইফুর রহমান স্বপথ, মহানগর বিএনপি নেতা সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, গাজী আইয়ুব আলী, মশিউল আলম স্বপন, একেএম পেয়ারু, খোরশেদ আলম কুতুবী, রন্জিত বড়ূয়া, আবু মুছা, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মতিন, নগর ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, তাঁতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, সদস্য সচিব মনিরুজ্জমান মুরাদ, মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক নুরুল হক, মহিলা শ্রমিক দলের শাহনেওয়াজ মিনু, ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহম্মেদ, সিরাজুল ইসলাম মুন্সী, আনোয়ার হোসেন আরজু, মনজুর মিয়া।