বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

আগামী সপ্তাহে চীন সফরে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রী

বৃহস্পতিবার, আগস্ট ২৪, ২০২৩

প্রিন্ট করুন
জিনা রাইমন্ডো

বেইজিং, চীন: আগামী সপ্তাহে চীন সফর করবেন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রী জিনা রাইমন্ডো। বেইজিং ও ওয়াশিংটন মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) জানিয়েছে, পৃথিবীর বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে উত্তেজনা কমানোর জন্য সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ধারাবাহিকভাবে চীন সফর করছেন।

যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ‘বাণিজ্য থেকে মানবাধিকার ও তাইওয়ানের ব্যাপার নিয়ে দুই শক্তির মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বে তারা চীনের সাথে তার শীতল সম্পর্ককে আরো সহজ করতে চাইছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রনালয় বিবৃতিতে বলেছে, ‘বাণিজ্য মন্ত্রী রাইমন্ডো যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যিক সম্পর্ক, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ের মুখোমুখি হওয়া চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাব্য সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলোর বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনার জন্য উন্মুখ।’

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ২৭-৩০ আগস্টের এই সফরে জিনা রাইমন্ডো বেইজিং ও সাংহাই উভয়ই নগরীতেই যাবেন।

বেইজিংও এই সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে, ‘রাইমন্ডোকে তার চীনা প্রতিপক্ষ ওয়াং ওয়েনতাও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।’

যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ‘তার সফরটি গেল বছর বালিতে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও জো বাইডেনের মধ্যে আলোচিত ‘বিভিন্ন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং পিআরসির মধ্যে যোগাযোগ গভীরতর করার’ বিষয়ে একটি চুক্তির ভিত্তি তৈরি করবে।

ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে সম্পর্ক কয়েক দশকের মধ্যে তাদের সবচেয়ে খারাপ স্তরে নেমে গেছে।

যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ‘তার বিধি নিষেধগুলো জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও চীন এটিকে তাদের অর্থনৈতিক উত্থানে বাধা হিসেবে দেখে।’

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) ব্রিফিংয়ে, হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, ‘চীনের কিছু কণ্ঠের দাবির বিপরীতে যে আমরা চীনের অর্থনীতিকে মন্থর করতে চাইছি বা চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দুর্বল করতে চাইছি, এটা ঠিক নয়।’

‘একটি স্থিতিশীল চীনা অর্থনীতি পৃথিবীর জন্য একটি ভাল জিনিস।’

তিনি আরো বলেন, ‘রাইমন্ডো এই বার্তা বহন করবেন যে, যুক্তরাষ্ট্র চীন থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চাইছে না। বরং, ‘ঝুঁকি কম’ করতে চাইছে; যার অর্থ তার জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা করা।’

এই মাসে বাইডেন চীনের স্পর্শকাতর উচ্চ-প্রযুক্তি অঞ্চলে নির্দিষ্ট কিছু আমেরিকান বিনিয়োগকে সীমাবদ্ধ করার লক্ষে একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন। এই পদক্ষেপকে ‘বিশ্বায়ন বিরোধী’ বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে চীন।

সেমিকন্ডাক্টর ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মত খাতগুলোকে লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্রের এই দীর্ঘ প্রতীক্ষিত বিধি নিষেধ আগামী বছর বাস্তবায়িত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন গেল মাসে বেইজিং সফরের সময় প্রত্যাশিত নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে চীনা কর্মকর্তাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে কোন নতুন পদক্ষেপ স্বচ্ছ উপায়ে বাস্তবায়িত হবে।

তিনি স্বাস্থ্যকর অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতা ও উন্নত যোগাযোগের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট মারাত্মক হুমকির বিষয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানান।