ঢাকা: জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালন-সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আনা আবেদন নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বিভাগ বেঞ্চ বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) এ আদেশ দেন। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে জাপা থেকে বহিষ্কৃত নেতা জিয়াউল হক মৃধা আপিল বিভাগে আবেদন করেছিলেন।
আপিল বিভাগের আদেশের পর জিয়াউল হক মৃধার আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা বলেন, ‘হাইকোর্ট রুলসহ যে আদেশ দিয়েছিলেন, তা বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। ফলে জিএম কাদের এখন দলের চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করতে পারছেন না।’
তিনি বলেন, ‘নিম্ন আদালতের দেয়া নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে জিএম কাদেরের করা আপিল দ্রুত শুনানি করতে বলা হয়েছে। আগামী ৯ জানুয়ারি জেলা জজ আদালতে এ-সংক্রান্ত শুনানির তারিখ ধার্য রয়েছে।’
জিএম কাদেরের আইনজীবী শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘জিয়াউল হক মৃধার করা আবেদন নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একই সাথে জেলা জজ আদালতে জিএম কাদেরের করা আপিলটি ৯ জানুয়ারি শুনানি করতে বলেছেন আপিল বিভাগ। ফলে জিএম কাদের জাপার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন কি না, তা জানতে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’
গত ৪ অক্টোবর জিয়াউল হক মৃধা দলীয় কার্যক্রমে জিএম কাদেরের অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলা করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত গঠনতন্ত্রের আলোকে জিএম কাদেরকে দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।
এ আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে জিএম কাদের একই আদালতে আবেদন করেন, যা ১৬ নভেম্বর খারিজ হয়। এর বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে আপিল করেন তিনি। এ আপিলের গ্রহণযোগ্যতার ওপর ৯ জানুয়ারি শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়। এ অবস্থায় শুনানির তারিখ এগুতে আবেদন করেন জিএম কাদের, সেটি ২৪ নভেম্বর খারিজ হয়। এর বিরুদ্ধে ২৮ নভেম্বর হাইকোর্টে আবেদন করেন জিএম কাদের। শুনানি নিয়ে ২৯ নভেম্বর হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। এ আদেশে ৩০ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতের দেয়া অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি স্থগিত করা হয়। তবে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্টে আবেদন করেন জিয়াউল হক মৃধা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ নভেম্বর চেম্বার কোর্ট হাইকোর্ট আদেশ স্থগিত করে জিয়াউল হক মৃধার আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান।