শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

আবু জাফর মাহমুদ পেলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ভলেন্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ও সিনেটারিয়েল মেডেল

শুক্রবার, মার্চ ১৭, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: নিউইয়র্কের হোম কেয়ার সেবার পথিকৃৎ আবু জাফর মাহমুদ নারীর ক্ষমতায়ন ও মানব সেবায় অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ যুক্তরাষ্ট্রের দি প্রেসিডেন্ট ভলেন্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। প্রেসিডেন্টশিয়াল গোল্ড মেডেলের পাশাপাশি তিনি যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট কার্যালয় ও আমেরিক্রপসের আজীবন সম্মাননা সনদ ও সিনেটারিয়াল মেডেলও পেয়েছেন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (১০ মার্চ) নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে ওয়ান থাউজেন্ড শেডস অব উইমেন ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাকে ওই পদক ও সম্মাননা দেয়া হয়।

বাংলা সিডিপ্যাপ সার্ভিসেস ও অ্যালেগ্রা হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আবু জাফর মাহমুদের হাতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সাক্ষরিত সম্মাননা সার্টিফিকেট ও ব্যাজ তুলে দেন ওয়ান থাউজেন্ট শেডস অব উইমেন ইন্টারন্যাশনালের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট ডাইওর ফল।

তিনি বলেন, ‘আবু জাফর মাহমুদ মানব সেবায় শুধু বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্যই অসামান্য নিদর্শন গড়েননি, তার বহুমুখী সেবামুলক কর্মকাণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠির মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। মানব সেবায় আর ঔদার্য ও পরীক্ষিত পদক্ষেপগুলো এখন যুক্তরাষ্ট্রে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখছে।

অনুষ্ঠানে ‘হাই লেভেল ইভেন্ট’ এ আইভরি কোস্টের নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী নাসেনেবা চেরি ডিয়ানসহ আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, ইউনিসেফসহ জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে অভিবাসী অধিকার কর্মী আদামা বাহ্, কাস্টমার কেয়ার এনালিস্ট প্রিডেন্স পায়েজ, চীনের প্রখ্যাত শিল্পী, সুরকার ও শিক্ষানুরাগী কারিনা হো, আমেরিকায় নিযুক্ত গ্রেনাডার রাষ্ট্রদূত ডেনিস জি অ্যান্টনি, স্বাস্থ্য সেবা বিশেষজ্ঞ সুমাইয়া আব্দুল লতিফ, প্রজেক্ট পিস লাইটসের প্রতিষ্ঠাতা পেটে রগিনা, খান টিউটোরিয়ালের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইভান খানকে অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাট রাজনীতিক আবু জাফর মাহমুদ তার ‘জয় বাংলাদেশ ও জয় আমেরিকা’ শ্লোগান উচ্চারণ করেন।

সে সাথে তিনি ওয়ান থাইজেন্ট শেডস অবস উইমেন ইন্টারন্যাশনালের প্রতি শুভাশীষ জানিয়ে বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়ন ও সমাজ অগ্রগতির জন্য পুরো পৃথিবীতে যারা কাজ করছেন, তাদেরকে সম্মানিত করার এ আয়োজন দৃষ্টান্তমূলক।’

আবু জাফর এ আয়োজনের সাথে একাত্মতা প্রকাশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মানবসেবার যতগুলি অনন্যতা, তার একটি হচ্ছে হোম কেয়ার সেবা। যুক্তরাষ্ট্রের সরকার তথা মার্কিন জাতির মানবিক উদারতা ও মহানুভবতার সাথে মিল রয়েছে বাংলাদেশের জীবন ও সংস্কৃতির। বিশেষ করে বাংলাদেশি পরিবার পর্যায়ে সেবা মানেই ভালবাসা, আত্মিক টান ও গভীর মমত্ববোধ। সেবা মানেই দায়বদ্ধতা ও গভীর জীবনোপলব্ধির ব্যাপার। যুক্তরাষ্ট্রের সেবাভিত্তিক এ অভিযানকে বাংলাদেশের পারিবারিক সাংস্কৃতিক মানবিকতার সাথে একাত্ম করার চেষ্টা করে চলেছি। এখন থেকে ১৬ বছর আগে শুরু করেছি এ কার্যক্রম। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের হোম কেয়ার সেবা বাংলাদেশি আমেরিকানদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার প্রথম উদ্যোগ নিয়েছি। আজ বাংলাদেশি আমেরিকান সমাজের মা বাবা, ভাই-বোন তথা সন্তানেরা মানবসেবার ধারনা পাচ্ছেন। মানব সেবার সাথে যুক্ত হচ্ছেন। এটি আমার কাছে অনেক বড় গর্বের।’