রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

ইমরান খানের দশ বছরের জেল

মঙ্গলবার, জানুয়ারী ৩০, ২০২৪

প্রিন্ট করুন
ইমরান খান

ইসলামাবাদ, পাকিস্তান: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে দশ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি শেষ আদালত। রাষ্ট্রীয় গোপনীয় তথ্য ফাঁস করার অভিযোগের মামলায় তাঁকে এ শাস্তি দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) জেলের ভেতরেই মামলার শুনানি চলছিল। সেখানেই ইমরানকে দশ বছরের সাজার রায় শোনানো হয়।

২০২২ এ ইমরান খানকে তার বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিলেন। দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ইমরান খান এরমধ্যেই তিন বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। তবে, তিনি সব অভিযোগকেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছেন।

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকেও বিশেষ আদালত দশ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন।

পাকিস্তানে এ মামলা ‘চিপার কেস’ নামেও পরিচিত। চিপার অর্থাৎ সাংকেতিক ভাষায় লেখা কিছু বার্তা। অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন থেকে পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূতের পাঠানো এমনই একটি বার্তা ইমরান ও কুরেশির হাতে উঠেছিল। যাতে লেখা ছিল, ‘ইমরানকে তার পদ থেকে সরাতে সহযোগীর ভূমিকা পালন করছে যুক্তরাষ্ট্র।’

কূটনৈতিক সেই বার্তা গোপন রাখেননি ইমরান। সাংকেতিক ভাষায় লেখা ওই বার্তা পেয়েও ফাঁস করে দেন বলে অভিযোগ। ইমরান খান বরাবরই বলে এসেছেন, তাকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরাতে গভীর ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। তখন ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

পাকিস্তান ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সিই ইমরানের বিরুদ্ধে মামলা করে।

মামলায় বলা হয়, ‘কূটনৈতিক কথোপকথন প্রকাশ্যে এনে দেশের গোপনীয়তা রক্ষার আইন লঙ্ঘন করেছেন ইমরান ও কুরেশি।’

আইনজীবীরা বলছেন, ‘পরবর্তী অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। গেল কয়েক মাস ধরে এ মামলার শুনানি চলছে। একটি বিশেষ আদালত কারাগারের মধ্যেই এ বিচার চালাচ্ছেন। ওই কারাগারেই ইমরান খান আগস্ট থেকে বন্দি রয়েছেন। সেখানে আন্তর্জাতিক কোন সংবাদ মাধ্যমকে উপস্থিত থাকতে দেয়া হয়নি।

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, বিচারককে সম্প্রতি বলা হয়েছিল, দ্রুত বিচারকাজ শেষ করতে। ইমরান খানের দল পিটিআই বলেছে, ‘তারা আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করবে।’ এ ছাড়া, এ রায়কে তারা উপহাস বলে অভিহিত করেছে।

আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে পাকিস্তানে। অভিযোগ উঠেছে, পিটিআইকে কর্তৃপক্ষ নির্বাচনী প্রচারে বাধা দিচ্ছে। ইমরান খান অন্য আরো অনেক আইনি মামলাও লড়ছেন।