রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

ইসরায়েলকে ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ বলে অভিহিত করল কিউবা

শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৯, ২০২৩

প্রিন্ট করুন
মিগেল দিয়াজ ক্যানেল

হাভানা, কিউবা: ইসরায়েলকে ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ বলে অভিহিত করেছেন কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগেল দিয়াজ ক্যানেল। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন। গাজা উপত্যকায় প্রায় আড়াই মাস ধরে চলমান ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের অবসান ঘটানোর আহ্বান জানান তিনি।

মিগেল দিয়াজ পোস্টে বলেন, ‘গাজায় সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরায়েল যে গণহত্যা চালিয়েছে, তা পুরো মানবজাতির জন্য অপমানজনক। আর কত দিন এমন দায়মুক্ত পরিস্থিতি থাকবে! আর কত দিন এমন হত্যার পথ খোলা থাকবে! কিউবা কখনোই উদাসীনদের দলে থাকবে না। কিউবা বারবারই ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলবে।’

দ্বীপরাষ্ট্রটি বার বার ফিলিস্তিনে সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে। এমনকি কিউবার পার্লামেন্টে ফিলিস্তিনি জনগণের সাথে একাত্মতাও ঘোষণা করা হয়েছে।

গেল ২০ ডিসেম্বর কিউবার কংগ্রেস গেল ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের নির্বিচারে বোমাবর্ষণ করে গাজা উপত্যকায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যার নিন্দা জানিয়েছে, যাদের মধ্যে ৭০ শতাংশের বেশি শিশু ও নারী।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বর্তমান পরিস্থিতি ইসরায়েলের ৭৫ বছরের অবৈধ দখলদারি ও উপনিবেশের ফল। এটি ফিলিস্তিনি জনগণের নিজস্ব ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অধিকারের স্পষ্ট লঙ্ঘন।’

বিবৃতিতে এ গণহত্যার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের যোগসাজশের কথাও উল্লেখ করা হয়।

এতে বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্র ভেটোর অগণতান্ত্রিক ও অপ্রচলিত ক্ষমতা ব্যবহার করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কর্মকাণ্ডকে বাধাগ্রস্ত করছে ও ইসরায়েলের সব বাড়াবাড়িকে সমর্থন দিচ্ছে। ইসরায়েল যে দায়মুক্তির সাথে কাজ করে যাচ্ছে, এতে দেশটির এই আত্মবিশ্বাস প্রকাশ পায় যে, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের সমর্থন থাকলে কোন পরিণতিই ভোগ করতে হবে না।’

সম্প্রতি বেশ কয়েকটি মিত্রদেশ ইসরায়েলকে সামরিক অভিযানের তীব্রতা কমাতে ও বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা দেয়ার আহ্বান জানালেও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সংকল্প ব্যক্ত করেছেন।

গেল ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে এক হাজার ২০০ মানুষকে হত্যা করার পর থেকেই গাজায় বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ২১ হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এতে আরো প্রায় ৫৫ হাজার আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ যুদ্ধে ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজার ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ও প্রায় ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। খাবার, সুপেয় পানি ও ওষুধের অভাবে ধুঁকছে গাজার লাখো মানুষ।