বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

ঈদুল ফিতরের দিন থেকে গড়ে তুলতে পারেন চোখে সুরমা লাগানোর অভ্যাস

শুক্রবার, এপ্রিল ২১, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

লাইফস্টাইল প্রতিবেদক: আর মাত্র এক রাতের অপেক্ষা। তারপরই ঘরে ঘরে সব ধর্মপ্রাণ মুসলমান পালন করবেন ঈদুল ফিতর। ঈদের এ খুশিকে বাড়িয়ে তুলতে চোখে পরতে পারেন সুরমা। কেননা, আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ ( সা.) চোখে সুরমা পরার উপদেশ দিয়ে গেছেন।

হাদিসে উল্লেখ রয়েছে, সুরমা ব্যবহার চোখের জন্য বিশেষ উপকারী। হাদিস ছাড়াও বিজ্ঞান গবেষণায় পাওয়া গেছে সুরমা ব্যবহারের নানান উপকারিতা।

সুরমা একটি খনিজদ্রব্য। এটি লিড সালফাইড হিসেবেও পরিচিত। এ খনিজদ্রব্য চূর্ণ করেই তৈরি করা হয় সুরমা।

মহানবী (স.) সাহাবাদের ‘ইছমিদ’ সুরমা ব্যবহারের উপদেশ দিয়েছেন ও তার উপকারিতা বর্ণনা করেছেন।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা ঘুমের সময় অবশ্যই ‘ইছমিদ’ সুরমা ব্যবহার করবে। কারণ, তা ব্যবহারে চোখের জ্যোতি বাড়ে ও অধিক ভ্রু জন্মে। (ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আবু ইয়ালা)

এ বিষয়ে হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘প্রিয় নবীর (সা.) একটি সুরমাদানি (সুরমা রাখার পাত্র) ছিল। প্রত্যেক রাতে ঘুমানোর আগে তিনি ডান চোখে তিন বার ও বাঁ চোখে তিন বার সুরমা লাগাতেন।’ (সুনানে বায়হাকি)

হাদিসের পাশাপাশি বিজ্ঞানেও মিলেছে এর উপকারী গুণ। নিয়মিত সুরমা ব্যবহারে চোখে জ্যোতি বাড়ে। কারণ, চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে প্রতিবন্ধক জীবাণুকে ধ্বংস করতে পারে এ সুরমা।

চোখে জ্বালাপোড়া নিরাময় করার পাশাপাশি এটি চোখের প্রবেশকৃত ধুলা ও ক্ষতিকর পদার্থগুলো নিঃসরণে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়া, সুরমায় রয়েছে চোখের জন্য ছোঁয়াচে সব ধরনের রোগজীবাণুকে ধ্বংস করার ক্ষমতা।

তাই, চোখের যাবতীয় কল্যাণে সব সময় প্রিয় নবীর উপদেশ মেনে সঠিক পদ্ধতিতে চোখে সুরমা পরার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন ঈদের দিন থেকেই।