চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমানের পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার নিহত আসীম জাওয়াদের পরিবার শোকাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। মানিকগঞ্জ পৌর শহরে আসীমের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে মা নিলুফা খানম পাগলপ্রায়। বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন তিনি। আত্মীয়স্বজনরা তাকে সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করছেন।
আসীমের খালা পারভিন আক্তার বলেন, ‘আসীম জাওয়াদ অত্যন্ত মেধাবী ছিল। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে তার মা এখন পাগলপ্রায়। পরিবারটি এ শোক কাটিয়ে উঠতে পারবে কি না জানা নেই তার।’
আসীম জাওয়াদের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামে।
চাকরির কারণে ছয় বছর বয়সী মেয়ে ও দেড় বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে চট্টগ্রাম বিমানবাহিনীর ঘাঁটি জহরুল হকের অফিসার্স আবাসিক এলাকার নীলিমাতে থাকতেন আসীম জাওয়াদ দম্পতি। বাবা চিকিৎসক আমান উল্লাহ ও মা সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক শিক্ষক নিলুফার খানম থাকেন মানিকগঞ্জের পৌর শহরের দাশড়া এলাকায় গোল্ডেন টাওয়ারে নিজস্ব ফ্ল্যাটে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর মোহনায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান ওয়াইএকে-১৩০ বিধ্বস্ত হয়। এর পূর্বে, সকালে বিমানটি উড্ডয়নের পর দশটা ২৫ মিনিটে আগুন ধরে যায়। পাইলটরা বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে দুই পাইলট প্যারাস্যুটের মাধ্যমে অবতরণের চেষ্টা করেন। বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে বোট ক্লাবের পাশে নদীতে পড়ে। এ সময় বিমানের এক পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার আসীম জাওয়াদ গুরুতর আহত হন। পরে, বানৌজা ঈসা খান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মারা যান তিনি।