ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র: পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিন যুক্তরাষ্ট্রের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিচার্ড ভার্মার সাথে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গভীর ও সম্প্রসারণ এবং পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন তারা। এছাড়া, ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে দেশটির একাধিক কর্মকর্তাদের সাথে পররাষ্ট্র সচিব এই বৈঠক করেছেন।
তাদের আলোচনায় অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগ এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, রোহিঙ্গা ইস্যু, শ্রম আইন সংস্কার ইত্যাদিতে যুক্তরাষ্ট্রের কারিগরি ও আর্থিক সহায়তার ওপর আলোকপাত করা হয়।
বৃহস্পতি (১০ অক্টোবর) ও শুক্রবার (১১ অক্টাবর) অন্তত পাঁচটি বৈঠকের তথ্য দিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তারা।
পররাষ্ট্র সচিব যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জন বাসের সাথে পৃথক বৈঠকে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের গতিতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা গভীর করার উপায় এবং অগ্রাধিকার ক্ষেত্রগুলোতে কার্যকর সহযোগিতা এগিয়ে নেয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্টের যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ সহকারী ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক লিন্ডসে ডব্লিউ ফোর্ডের সাথে বৈঠকে তিনি বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
তারা সরকারের অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার এজেন্ডা, গণতান্ত্রিক উত্তরণ, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা ইস্যু, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, রোহিঙ্গা সংকট, শ্রম আইন প্রভূতি ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করেন।
জসিম উদ্দিন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী ইউএসটিআর ব্রেন্ডন লিঞ্চের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং রপ্তানি বহুমুখীকরণে পারস্পরিক সহযোগিতা, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা তুলা থেকে উৎপাদিত আরএমজির ডিএফকিউএফ প্রবেশাধিকার, ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যের নিবন্ধন সহজীকরণ ও নিবন্ধন ফি হ্রাস, শ্রম আইন সংস্কার এবং ইউএস ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স কো-অপারেশনে (ডিএফসি) প্রবেশাধিকার নিয়ে আলোচনা করেন।
পররাষ্ট্র সচিব ও গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের মধ্যে একটি মধ্যাহ্নভোজ বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থের বিস্তৃত বিষয়গুলোর ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি রাষ্ট্রদূত ডোনাল্ড লু, ভারপ্রাপ্ত অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি মার্টা সি ইয়ুথ, ডেপুটি অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি নিকোল চুলিক, ডেপুটি অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি মনিকা অ্যাগার জ্যাকবসেন ও ডিরেক্টর আল্লা পি।
ওয়াশিংটন সফরের আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিউইয়র্ক সফর করেন এবং ১৪ অক্টোবর ওয়াশিংটন ত্যাগ করার কথা রয়েছে।