রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

মুনা ইস্ট জোনের তিন দিনের এডুকেশন ক্যাম্প সম্পন্ন

বুধবার, জানুয়ারী ১৭, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র: দ্বীনি কাজ সম্প্রসারণে আল্লাহ ও তার রাসুলের প্রতি বিশুদ্ধ ঈমান আর কুরআন-হাদিসের জ্ঞানার্জনের দিকে বিশেষ নজর রাখার তাগিদ দিয়েছেন মুনার ন্যাশনাল প্রেডিডেন্ট হারুন অর রশীদ। মুসলিম উম্মাহ অফ নর্থ আমেরিকা (মুনা) ইস্ট জোন আয়োজিত তিন দিনের এডুকেশল ক্যাম্পে এ তাগিদ দেন তিনি।

জোনের সভাপতি মাহমুদুল কাদের তফাদারের সভাপতিত্বে বৈঠক যৌথভাবে পরিচালনা করেন জোনের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ ও মেনপাওয়ার অ্যান্ড এডুকেশনাল ডাইরেক্টর ইব্রাহিম খলিল। বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করেন মুনার সাবেক ন্যাশনাল আবু আহমেদ নূরুজ্জামান, ইমাম দেলোয়ার হোসাইন, ন্যাশনাল এস্টিটেন এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর আহমেদ আবু উবায়দা, ন্যাশনাল দাওয়াহ ও ফেইথ অ্যাওয়ারনেস ডাইরেক্টর মোহাম্মদ রুহুল আমিন, ন্যাশনাল সোস্যাল সার্ভিস ডাইরেক্টর আব্দুল্লাহ আল আরিফ, ন্যাশনাল জাষ্ট্রিজ এন্ড হিউম্যান ডিগনিটি ডাইরেক্টর মো. জিয়াউল ইসলাম শামীম, কেন্দ্রীয় মজলিশ শুরা সদস্য নাকিবুর রহমান তারিক, ইস্ট জোনের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন।

‘ব্যক্তি, পরিবার ও সাংগঠনিক উন্নয়ন’ থিমকে সামনে রেখে গেল ১৩-১৫ জানুয়ারী এ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয় দেলোয়ারের রামাদাহ হোটেলের বল রুমে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘পরস্পর ভ্রাতৃত্ববন্ধন ও ইসলামের মৌলিক সৌন্দর্য্যকে তুলে ধরা প্রত্যেকটা ঈমানদারের নৈতিক দায়িত্ব। বর্তমান সমাজে দ্বীনি কাজ সম্প্রসারণে আল্লাহ ও তার রাসুলের প্রতি বিশুদ্ধ ঈমান আর কুরআন-হাদিসের জ্ঞানার্জনের বিকল্প নেই।’

সাংগঠনিক অবকাঠানো তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘দাওয়াতে দ্বীনের পাশাপাশি সমাজ কল্যাণমূলক কাজ করা সময়ের দাবি। সমাজের প্রত্যেক শ্রেণীর লোকদের সাথে মিশে প্রমাণ করতে হবে, আমরা দায়ী ইল্লাল্লাহের কাজ করছি। সমাজের চাহিদা কি তা চিহ্নিত করে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। প্রতিবেশীর সাথে রাখতে হবে সুসর্ম্পক, আর এটাই ইসলামের নৈতিক শিক্ষা।’

ইমাম দেলোয়ার হোসাইন ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের গুণাবলী তুলে ধরে বলেন, ‘একজন কর্মীর তুলনায় নেতার জবাবদিহিতা বহু বেশী। তাই দায়িত্বশীলদের আচার-ব্যবহার চলাচল সবই হবে আল্লাহর কুরআন ও রাসুলের (সা.) নির্ধারিত পন্থায়। কুরআন ও হাদীসকে যথাযথ অনুসরণ করতে পারলেই দুনিয়াতে কল্যাণ ও আখেরাতে মুক্তি সম্ভব।’

মাহমুদুর রহমান তফাদার বলেন, ‘ইসলামী আন্দোলনের কাজকে অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে নৈতিক চরিত্র ও ঐক্যের শক্তি অর্জন করতে হবে। কোন অবস্থাতে দ্বীনি পরিবেশকে নষ্ট করা যাবে না। সমাজের সব স্তরের লোকদের কাছে দরদ মন নিয়ে দাওয়াত দিতে হবে।’

তিনি সব শ্রেণীর লোকদের কাছে ইসলামের সুমহান বাণী তুলে ধরার গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘যেখানে মুসলমান সেখানে হালাকাহ্। আর এটাই দুনিয়া ও আখেরাতে সফলতার অন্যতম মাধ্যম।’

প্রায় দুই শতাধিক লোকের উপস্থিতি অনুষ্ঠানের সাবির্ক সহযোগিতায় ছিলেন জোন কর্মপরিষদের সদস্যরা। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন আটলার্ন্টিক শিল্পীগোষ্ঠির সদস্যরা।