বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

শিরোনাম

করোনা/চীনে লাখ লাখ মানুষ প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য যুদ্ধ করছে

শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২২

প্রিন্ট করুন

বেইজিং, চীন: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশব্যাপী লাখ লাখ লোক মৌলিক ওষুধ ও পরীক্ষা কিটগুলো পাওয়ার জন্য যুদ্ধ করছে চীন। এ জন্য চিকিৎসা সরবরাহের উৎপাদন বাড়ানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে। বছরের লকডাউন, কোয়ারেন্টাইন ও গণ পরীক্ষা তুলে নেয়ার চীনা সরকারের আকস্মিক সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান শহরগুলোর ফার্মেসিগুলো খালি হয়ে গেছে। খবর এএফপির।

কর্তৃপক্ষ যাদের হালকা লক্ষণ রয়েছে, তাদের বাড়িতে থাকার ও তাদের নিজের চেষ্টায় চিকিৎসা নেয়ার আহবান জানিয়েছে। এতে সংক্রমণ প্রতিরোধক আইবুপ্রোফেন থেকে দ্রুত অ্যান্টিজেন পরীক্ষা পর্যন্ত সব কিছুর উপর একটি দৌড় শুরু হয়েছে।

‘দেশব্যাপী ঘাটতি মেটানোর জন্য কর্মকর্তারা এক ডজনেরও বেশি চীনা ফার্মাসিউটিক্যাল ফার্মগুলোকে প্রধান ওষুধের ‘সুরক্ষিত সরবরাহ’ নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।’

স্থানীয় রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘৪২টি টেস্ট কিট প্রস্তুতকারকদের মধ্যে অন্তত ১১ জন যাদের পণ্য চীনের চিকিৎসা নিয়ন্ত্রকদের দ্বারা লাইসেন্সপ্রাপ্ত তাদের উৎপাদনের অংশ সরকার জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছে।’

দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর জিয়ামেনের একটি দ্রুত অ্যান্টিজেন পরীক্ষা কিট প্রস্তুতকারী উইজ বায়োটেক বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) নিশ্চিত করেছে যে, তারা যে সব কিট তৈরি করেছে তা স্থানীয় সরকারকে সরবরাহ করা হবে।

পৌরসভা তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে, ‘বেইজিংয়ে কর্তৃপক্ষ তাদের ‘উৎপাদন বাড়াতে’ সাহায্য করার জন্য ছয়টি অ্যান্টিজেন কিট প্রস্তুতকারকদের কাছে অতিরিক্ত কর্মী পাঠিয়েছে।’

চীন জুড়ে লাখ লাখ মানুষ প্রাথমিক চিকিৎসা সরবরাহের জন্য যুদ্ধ করছে। চেংডুর বাসিন্দা ইয়ানিয়ান বলেছেন, ‘আমার পুরো পরিবার অসুস্থ ও আমি জ্বরের জন্য ওষুধ কিনতে পারছি না।’ বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) পুরো দেশের এক ডজন ফার্মেসি জ্বরের ওষুধের ঘাটতির কথা জানিয়েছে।

নিংজিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলের একজন ফার্মাসিস্ট বলেন, ‘আমাদের এক বা দুই সপ্তাহ ধরে কোন ওষুধ পাই নি, আমার কাছে এখনো কিছু ব্যথানাশক ওষুধ বাকি আছে। কিন্তু খুব কম।’ কিছু স্থানীয় কর্তৃপক্ষ রেশনিং নীতি চালু করেছে।

ঝুহাই শহরে কর্মকর্তারা সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) বলেছেন, ‘৫০০ টিরও বেশি ফার্মেসিতে জ্বরের ওষুধ কিনতে আইডি নিবন্ধনের প্রয়োজন হবে। বাসিন্দাদের এখন সপ্তাহে ছয়টি ট্যাবলেট কেনার অনুমতি দেয়া হয়েছে।’

পূর্ব জিয়াংসু প্রদেশের রাজধানী নানজিং কর্তৃপক্ষ বলেছেন, এটি দুই মিলিয়ন জ্বরের ওষুধ ট্যাবলেট সুরক্ষিত করেছে, তবে গ্রাহকরাও সপ্তাহে ছয়টিতে সীমাবদ্ধ ছিল।

বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) পূর্বাঞ্চলীয় শহর হ্যাংজু নাগরিকদের তাদের প্রয়োজনের ভিত্তিতে ‘যুক্তিযুক্তভাবে’ ওষুধের অর্ডার দেয়ার আহবান জানিয়েছে।

শহরের বাজার তদারকি প্রশাসনের এক নোটিশে বলা হয়, ‘ওষুধগুলো অন্ধভাবে মজুত করবেন না, যাদের সত্যিই এগুলোর প্রয়োজন, তাদের দিন।’