সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

কিংবদন্তি মূকাভিনয় শিল্পী মার্সেল মার্সোর সপ্তদশ প্রয়াণ দিবস পালিত

সোমবার, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: কিংবদন্তি মূকাভিনয় শিল্পী প্রয়াত মার্সেল মার্সোর সপ্তদশ প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা জানিয়ে আলোচনা ও মূকাভিনয় প্রদর্শনী করেছে বাংলাদেশ মূকাভিনয় ফেডারেশান।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রাঙ্গণে রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এতে স্বাগত বক্তব্য দেন ফেডারেশনের প্রাক্তন সেক্রেটারি জেনারেল ধীমান সাহা জুয়েল। অতিথি ছিলেন ফেডারেশনের প্রাক্তন সভাপতি ইস্রাফিল আহমেদ রঙ্গন। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ফেডারেশানের অর্থ সম্পাদক মেজবাহ চৌধুরী। সমাপনী বক্তব্য দেন ফেডারেশানের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সোলেমান মেহেদী।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশানের সহ-সভাপতি ফজলে রাব্বি সুকর্ন, সাংগঠনিক সম্পাদক খোরশেদ আলম রুবেল ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক শহিদুল মুরাদ।

মার্সেল মার্সোর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মূকাভিনয় প্রদর্শনী করে সাইলেন্ট থিয়েটার, চট্টগ্রামের মেজবাহ চৌধুরী, নারায়ণগঞ্জের শ্রুতি সাংস্কৃতিক একাডেমি, মিরর মাইম, মাহবুব আলম, মাইম ফেইস নারায়ণগঞ্জ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ফেডারেশানের সেক্রেটারি জেনারেল মাহবুব আলম।

প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মার্সেল ৮৪ বছর বয়সে মার্সেল মার্সোর জীবনাবসান ঘটে। বিশ্বখ্যাত এ শিল্পী ১৯২৩ সালের ২২ মার্চ ফ্রান্সের স্টার্সবুর্গ শহরে জন্ম নেন। বিংশ শতাব্দীর আধুনিক মূকাভিনয় চর্চা ও মার্সোর নাম সমার্থক হয়ে ওঠায় তার প্রয়াণের পরে তার জন্মদিনটিকেই ‘বিশ্ব মূকাভিনয় দিবস’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে। মার্সেল মার্সো একজন ফরাসি অভিনেতা ও মূকাভিনেতা ছিলেন। তিনি তার মঞ্চ ব্যক্তিত্ব ‘বিপ দ্য ক্লাউন’ চরিত্রের জন্য সর্বাধিক খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি ৬০ বছরের অধিক সময় বিশ্বব্যাপী পেশাদার মূকাভিনয় পরিবেশন করেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি ফরাসি রেজিস্টেন্সে কর্মরত ছিলেন এবং ১৯৪৪ সালের আগস্ট মাসে প্যারিসের স্বাধীনতার পর তিন হাজার সেনার সামনে বিশাল পরিসরে তার প্রথম পরিবেশনা উপস্থাপন করেন। যুদ্ধের পর তিনি প্যারিসে নাট্যকলা ও মূকাভিনয় নিয়ে পড়াশোনা করেন। ১৯৫৯ সালে তিনি প্যারিসে নিজের পান্তোমিম স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন এবং এ শিল্পকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রচারের জন্য মার্সো ফাউন্ডেশন গঠন করেন। তার প্রাপ্ত বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননার মধ্যে রয়েছে ১৯৯৮ সালে লেজিওঁ দনরের গ্র্যান্ড অফিসার এবং ১৯৯৮ সালে ন্যাশনাল অর্ডার অব মেরিট। তিনি তার টেলিভিশন কর্মের জন্য একটি এমি পুরস্কার অর্জন করেন।