শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

ক্ষতি জেনেও ঢাকা-নিউ ইয়র্ক ফ্লাইট চালু করতে চায় বাংলাদেশ বিমান

রবিবার, ডিসেম্বর ১০, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: ঢাকা-নিউ ইয়র্ক ফ্লাইট চালু করা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। চলতি বছর নয়, ফ্লাইট চালুর লক্ষ্য এখন আগামী বছর। তবে নেই পর্যাপ্ত উড়োজাহাজ। সেই সাথে ক্ষতির স্পষ্ট হিসাবও রয়েছে। তবুও নিউ ইয়র্কে ফ্লাইট চালাতে চায় বাংলাদেশ বিমান।

১৯৯৬ সালে ক্ষতির কারণেই ঢাকা-নিউ ইয়র্ক রুটে বিমানের ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যায়। দশ বছর পর ২০০৬ সালে ফের এ রুটে ফ্লাইট চালু হলেও টিকতে পারেনি বিমান। তারও ১৭ বছর পর এবার কোমর বেঁধেই নেমেছে বিমান ও সিভিল এভিয়েশন। কিন্তু, ফ্লাইট চালানোর অনুমতির শর্ত পূরণে কতটা এগুতে পারছে সংস্থা দুটি – তা নিয়ে চলছে রশি টানাটানি।

প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, তৃতীয় দফায় ফ্লাইট পরিচালনায় ফেডারেল এভিয়েশন অথরিটির (এফএএ) কাছে গেল মে মাসে আবেদন করেছে বিমান। তবে, মুনাফা পেতে নয়, এভিয়েশন খাতে সুনাম বাড়াতেই নিউ ইয়র্কে ডানা মেলার লক্ষ্য বিমানের। পাশাপাশি, অনুমোদনের বাকি দায় সিভিল এভিয়েশনের বলেও জানায় বিমান।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. শফিউল আজিম বলেন, ‘আমরা তাদের চাওয়া প্রায় ১৬৯টি কমপ্লায়েন্সের সবই মেনে নিয়েছি। এফএএ আমাদের বিমান বন্দরের সক্ষমতা দেখবে।’

এ দিকে, ফ্লাইট পরিচালনার নতুন শর্তে শাহজালাল বিমানবন্দরকে ক্যাটাগরি-১-এ উন্নীত করা ও নিরাপত্তাসহ নানা বিষয়ে সিভিল এভিয়েশনকে কাজ করতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে, সহযোগিতা করছে বোয়িং কোম্পানিও। তবে বিমানের ডানা মেলার লক্ষ্য চলতি বছরের অক্টোবরে থাকলেও সায় মেলেনি এফএএ এবং সিভিল এভিয়েশনের।

তবে এ নিয়ে সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমানের মন্তব্য, বিমানের কারণেই তাদের নতুন করে কাজ করতে হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘বিমান পূর্বে ঢাকা-নিউইয়র্ক ফ্লাইট চালাত। কিন্তু, এটি যেহেতু বিমান বন্ধ করে রেখেছে, সেহেতু তাদের কারণেই আজ ফের সেটি চালু করতে যেতে হচ্ছে। তবে, আমরা যেহেতু প্রক্রিয়া শুরু করেছি, সেটি এখন ভাল গতিতে এগুচ্ছে।’

বিমানের তথ্যাযায়ী, ঢাকা-নিউ ইয়র্ক রুট থেকে সপ্তাহে মোট রাজস্ব আয় হবে ২১ লাখ ১৭ হাজার ২৩৫ ডলার। বিপরীতে ব্যয় হবে ৩১ লাখ ৪১ হাজার ২৪ ডলার। অর্থাৎ, এতে প্রতি সপ্তাহে বিমানের লোকসান হবে দশ লাখ ২৩ হাজার ৭৮৯ ডলার বা প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকা।

এ অবস্থায় লাভজনকভাবে ফ্লাইট পরিচালনার পরামর্শ খাত সংশ্লিষ্টদের। এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, ‘আমি ফ্লাইট পরিচালনার জন্য একটি রুটে ফ্লাইট চালু করব, এটি কোন বাণিজ্যিক এয়ারলাইনসের গুরুত্বের জায়গা হতে পারে না। কারণ, যে কোন বাণিজ্যিক এয়ারলাইনসকে বাণিজ্যিক দিক বিচার-বিবেচনা করে নানা পদক্ষেপ নিতে হয়। কাজেই আমি বিমানকে অনুরোধ করব যে, তাদের পূর্বে ঢাকা-নিউ ইয়র্ক রুট পরীক্ষা করা উচিত।’

অনুমোদন পাওয়ার পর লোকসানে বিমান পরিচালনা করলেও শুধু ঢাকা-নিউ ইয়র্ক রুটেই বছরে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বাংলাদেশ বিমানকে জরিমানা গুনতে হবে।