ঢাকা: বিএনপিনেত্রী খালেদা জিয়া, তাদের মহাসচিব ও তার দলের শিষ্টাচার শেখার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
বুধবার (৩১ আগস্ট) বিকালে ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত ‘শোকাবহ ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে’ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সমসাময়িক বিষয় নিয়ে তথ্য মন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনা মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) জিয়াকে বিদেশ পাঠানো নিয়ে কিছু কথা বলেছেন, সে প্রেক্ষিতে মির্জা ফখরুল সাহেব শিষ্টাচার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আমি ফখরুল সাহেবকে অনুরোধ জানাই, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন খালেদা জিয়ার পুত্র আরাফাত রহমান কোকো মৃত্যুবরণ করার পর তার দরজায় গিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন, ২০ মিনিট পরেও যখন দরজা খোলেন নি এটা কোন ধরনের শিষ্টাচার?’
‘শুধু তাই নয়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন তাকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানালেন যে আপনি আসুন, আপনার সাথে আমরা আলাপ করি। তখন বিএনপিনেত্রী যে ভাষায় কথা বললেন, সেটি কোন ধরণের শিষ্টাচার’ প্রশ্ন রেখে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী আহত হলেন আর সংসদে দাঁড়িয়ে খালেদা জিয়া বললেন, উনাকে কে মারবেন, গ্রেনেড তো উনারাই নিয়ে গিয়েছেন ভ্যানিটি ব্যাগে করে -এটা কোন ধরনের শিষ্টাচার। শিষ্টাচার আমাদের শেখাবেন না। শিষ্টাচার আপনাদের শেখার প্রয়োজন রয়েছে, আপনার নেত্রীরও শেখার প্রয়োজন রয়েছে। শিষ্টাচার আপনাদের শেখা দরকার, খালেদা জিয়া, তার মহাসচিব ও তার দলের শিষ্টাচার শেখার প্রয়োজন রয়েছে।’
হাছান মাহমুদ আরো বলেন, ‘খালেদা জিয়ার প্রতি শেখ হাসিনা যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন, তারা ক্ষমতায় থাকলে সেটা দেখাত না। গ্রেনেড মেরে হত্যার অপচেষ্টা করার পর মারতে পারে নাই, এরপরও যারা উপহাস করে, তারা ক্ষমতা থাকলে আজকে শেখ হাসিনা যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন, সেটা দেখাত?’
তথ্য মন্ত্রী বলেন, ‘কয় দিন পরে পরে বিএনপির নেতারা বলে, খালেদা জিয়াকে বিদেশ না নিলে তার জীবন সংকটাপন্ন। এগুলো বলার পর দেখা যায় খালেদা জিয়া ভাল হয়ে ফেরত যায়। বেশি কথা বলতে চাই না, আমাকে আমার নেত্রী শিষ্টাচার শিখিয়েছেন, আমার পরিবারও শিষ্টাচার শিখিয়েছে। কিন্তু কারো জীবন যখন সংকটাপন্ন হয় তখন কি কেউ সেজেগুজে হাসপাতালে যায়! এটির জবাব মির্জা ফখরুল সাহেব নিশ্চয় দেবেন।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের অন্যতম প্রধান কুশীলব ছিল জিয়াউর রহমান। আর ২১ আগস্টের হত্যাকান্ডের অন্যতম কুশীলব হচ্ছে জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক জিয়া। সুতরাং দুইটি হত্যাকান্ড একই সূত্রে গাঁথা।’
ডিইউজের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ বাদল, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, সাবেক মহাসচিব আব্দুল জলিল ভূঁইয়া, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, ডিইউজের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, ডিইউজের সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ, যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম।