ঢাকা: জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে বিচারিক আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) এ রায় দেন। একইসাথে এ মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী। দূর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
ডেপুটি এটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক জানান, ২০১০ সালের ৭ জুন দেয়া স্থগিতাদেশ তুলে রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসাথে বিচারিক আদালতকে দ্রুত বিচার শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ রায়ের ফলে মামলাটি সচল হল।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে দুদক ২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি মামলা দায়ের করে। ঢাকার রমনা থানায় করা এ মামলায় দুই কোটি ৮৬ লাখ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। একই বছরের ৫ জুলাই এ মামলায় অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করে দুদক। পরে গয়েশ্বর মামলা বাতিলের আবেদন জানালে ২০১০ সালের ৭ জুন রুল জারি করে স্থগিতাদেশ দেন। সেই থেকে মামলাটির বিচার বন্ধ রয়েছে। সম্প্রতি এ রুল শুনানির জন্য উদ্যোগ নেয় রাষ্ট্রপক্ষ। পরে বিচারিক আদালতে এ মামলার বিচার শুরু হয়। এরপর মামলাটি স্থগিত চেয়ে ২০১০ সালে আবেদন করেন গয়েশ্বর। একই বছর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন। স্থগিতাদেশ বাতিল করে বৃহস্পতিবার মামলাটি সচলের রায় দিলেন হাইকোর্ট।