মক্কা, সৌদি আরব: গাজা যুদ্ধের ভয়াবহ পটভূমির ও কষ্টকর গ্রীষ্মের উত্তাপের মধ্যেই হজ শুরু হওয়ায় শুক্রবার (১৪ জুন) ১৫ লাখেরও অধিক হাজী মক্কায় অবস্থান করেন। সংবাদ এএফপির।
হজ পালনকারীরা মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদের মাঝখানে অবস্থিত কাবাঘর তাওয়াফ করবেন। এদের অনেকেই ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে আট মাস ধরে চলা যুদ্ধের বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন।
মরক্কোর ৭৫ বছর বয়সী জাহরা বেনিজাহরা কান্না বিজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘ফিলিস্তিনে আমাদের ভাইয়েরা মারা যাচ্ছেন ও আমরা আমাদের নিজের চোখে তা দেখতে পাচ্ছি।’
পৃথিবীর বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যার ইন্দোনেশিয়ার বেলিন্ডা এলহাম বলেন, ‘তিনি ‘প্রতিদিন প্রার্থনা করবেন; যাতে ফিলিস্তিনে যা ঘটছে তার যেন অবসান ঘটে।’
গেল ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গ্রুপ হামাসের নজিরবিহীন হামলার মধ্যদিয়ে গাজা যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটে। সেখানে হামাসের ওই হামলায় এক হাজার ১৯৪ জনের মৃত্যু হয়। যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। ইসরায়েলে হামলা চলাকালে হামাসের যোদ্ধারা ২৫১ জনকে জিম্মিও করেছে। এদের মধ্যে ১১৬ জন গাজায় রয়ে গেছে। যদিও সেনাবাহিনী বলছে, ‘তাদের মধ্যে ৪১ জন মারা গেছে।’
এ দিকে, হামাস শাসিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, হামাসের বিরেুদ্ধে ইসরায়েলের পাল্টা আগ্রাসনে গাজায় কমপক্ষে ৩৭ হাজার ২৩২ বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই এবং নারী ও শিশু।
সরকারি ‘সৌদি প্রেস এজেন্সি’ জানিয়েছে, সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান সোমবার (১০ জুন) ‘গাজা উপত্যকায় হামলায় শহীদ ও আহতদের পরিবার থেকে এক হাজার হজযাত্রীকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য একটি আদেশ জারি করেছেন। এতে চলতি বছর ফিলিস্তিনের হজযাত্রীর সংখ্যা বেড়ে দুই হাজার জনে দাঁড়াবে। আর এ বছরের হজে ফিলিস্তিনের হজযাত্রীরদের বিশেষ সম্মান জানানো হবে। এ দিকে, উপসাগরীয় এ দেশের ধর্মীয় অনুষ্ঠান হজের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়াহ গেল সপ্তাহে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে ‘কোন রাজনৈতিক কার্যকলাপ’ বরদাস্ত করা হবে না।’
তবে, হজযাত্রীরা কীভাবে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে পারে তা স্পষ্ট নয়।