মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

গাজায় যুদ্ধবিরতি: আরবদের তোপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র

সোমবার, নভেম্বর ৬, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

আম্মান, জর্ডান: অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধবিরতি চায় না ইসরাইল, তাদের সাথে সুর মিলিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। যুদ্ধবিরতির বদলে ‘মানবিক বিরতি’র আহ্বান জানিয়েছে ‍যুক্তরাষ্ট্র। তবে, এ নিয়ে আরব দেশগুলোর তোপের মুখে পড়েছে বাইডেন প্রশাসন। যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে এখন অনেকটা দুই মেরুতে অবস্থান আরব বিশ্ব ও যুক্তরাষ্ট্রের। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, গাজায় যুদ্ধবিরতি দিলে হামাস পুনরায় সংগঠিত হবে ও ফের বড় হামলা চালাতে পারে। সে কারণেই তারা গাজায় যুদ্ধবিরতি নয়, বরং মানবিক বিরতি চায়। খবর বিবিসি, আল জাজিরার।

ইসরাইল সফরের পর জর্ডানের রাজধানী আম্মানে গিয়ে লেবানন, কাতার, মিশর, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতাদের সাথে দেখা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবর বলছে, ‘এই সফরে আরব নেতাদের তোপের মুখে পড়েছেন ব্লিঙ্কেন।’

জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আয়মান সাফাদি বলেছেন, ‘মানুষ হিসেবে আমরা এই হত্যাকাণ্ড মেনে নিতে পারি না… এই হত্যাকাণ্ড আর ধ্বংসযজ্ঞকে আমরা কীভাবে ন্যায্য বলে মেনে নিতে পারি? এটা কোন আত্মরক্ষা হতে পারে না।’

এছাড়া, গাজায় বিনা শর্তে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রী সামেহ শুকরি। ব্লিঙ্কেনের সাথে আলোচনার সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে দ্বিমুখী আচরণ থেকে সরে আসতে বলেছেন। শুকরির মতে, ‘এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি অর্জনের ব্যাপারে আরব নেতাদের সাথে যুক্তরাষ্ট্র একমত না হলেও তাদের লক্ষ্য একই।’

এদিকে, পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ইসরাইল অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে আচমকা সফর করেছেন অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। রোববার (৫ নভেম্বর) এই সফরে রামাল্লায় ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সাথে বৈঠক করেছেন তিনি। ওই সময় রামাল্লার রাস্তায় ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা যায়।

ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত শুরু হওয়ার পর অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এ পর্যন্ত দুই বার ইসরাইল সফর করেছেন। রোববারই (৫ নভেম্বর) প্রথম পশ্চিম তীর সফর করলেন তিনি।

ব্লিঙ্কেনের সাথে বৈঠকে আব্বাস বলেছেন, ‘গাজায় ‘দ্রুত যুদ্ধবিরতি’ কার্যকর করতে হবে। সেই সাথে অব্যাহত মানবিক সাহায্য ঢুকার অনুমতি দিতে হবে। তবে, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে রাজি হননি ব্লিঙ্কেন। তিনি বলেছেন, ‘গাজাবাসীকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা উচিত নয়।’

ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানায়, হামাস শাসিত গাজা উপত্যকায় হত্যাকাণ্ডকে ‘গণহত্যা’ আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা জানিয়েছেন আব্বাস। ব্লিঙ্কেনকে তিনি বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক আইনের নীতির প্রতি কোন গুরুত্ব না রেখে ইসরাইলের যুদ্ধযন্ত্রের হাতে গাজায় আমাদের ফিলিস্তিনি জনগণ যে গণহত্যা ও ধ্বংসের শিকার হয়েছে, তা বর্ণনা করার জন্য আমার কাছে কোন শব্দ নেই।’

তবে, ফিলিস্তিনি ও ইসরাইলিদের জন্য মর্যাদা ও নিরাপত্তার ‘সমান ব্যবস্থা’ এগিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।