রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

গাজিপুরে মজুরি বাড়ানোর দাবিতে শ্রমিকদের আন্দোলন, ডেনিম এশিয়া ভাঙচুর

শুক্রবার, জানুয়ারী ১৯, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

কালিয়াকৈর, গাজিপুর: গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলায় মজুরি বাড়ানোর দাবিতে সুতা ও কাপড় তৈরি কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলন করেছে। এ সময় শ্রমিকরা ডেনিম এশিয়া নামের কারখানায় ভাঙচুর করেছে।

শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরের পর থেকে উপজেলার সফিপুরের নানা সুতা ও কাপড় তৈরির কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলনে অংশ নেন।

কারখানার ভিতরে কর্মরত থাকা শ্রমিকরা বেরিয়ে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করলে বিক্ষিপ্ত শ্রমিকরা শান্ত হয়। পরে সফিপুর এলাকায় অবস্থিত শাহাবুদ্দিন স্পিনিং, যমুনা স্পিনিং, মালেক স্পিনিং, হানিফ স্পিনিং, করতোয়া স্পিনিং, জমজম স্পিনিংসহ অন্যান্য স্পিনিং ও নিটিং কারখানার শ্রমিকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের দুই পাশের সড়কের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শিল্প পুলিশ এসে শ্রমিকদের শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করে।

শিল্প পুলিশের কর্মকর্তারা শ্রমিক ও কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে দফায় দফায় আলোচনা হয়। বিক্ষিপ্ত শ্রমিকদের শিল্প পুলিশ নানা আশ্বাস দিয়ে মহাসড়ক থেকে নামিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। পরে, শ্রমিকরা নানা কারখানার মূল ফটকের সামনে অবস্থান করে স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় তারা ডেনিম এশিয়া নামের কারখানায় ভাঙচুর করে।

আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, সর্বনিম্ন মজুরি বাড়ানোর দাবিতে পোশাক, সুতাসহ নানা কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলন করে। ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সরকার তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছে। গেল মাসের বেতন চলতি মাসে আনতে গেলে তাদের আগের বেতন ধরিয়ে দেয়। বাড়তি বেতন না পেয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে জিজ্ঞেস করলে তারা বিভিন্ন তাল বাহানা করে।

আন্দোলনে শুরু হলে কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের জানায়, তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে। সুতা ও কাপড় তৈরির কারখানার শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি করেনি সরকার। এরপর থেকেই শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষ তৈরি হয়।

শিল্প পুলিশ গাজীপুর -১ এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিতাই চন্দ্র বলেন, ‘শ্রমিকরা বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করি। পরে তারা নানা কারখানার সামনে অবস্থান করে আন্দোলন করে। নাশকতা এড়িয়ে শ্রমিকদের নিরাপদে তাদের বাড়ি পাঠাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’