ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে কখনোই শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধা দেয়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি সোমবার (১ জুলাই) জাতীয় সংসদে টেবিলে উপস্থাপিত জাতীয় পার্টির সদস্য মো. মুজিবুল হক চুন্নুর লিখিত প্রশ্নের উত্তরে এ তথ্য জানান।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সেদেশে বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে কখনোই শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধা দেয়নি। তবে, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার এমএফএন নীতির আলোকে গার্মেন্টস পণ্যের উপর আরোপিত আমদানী শুল্ক হার বাংলাদেশ ও অন্যান্য প্রতিযোগী দেশগুলোর জন্য অভিন্ন। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি সুবিধার আওতায় থাকাকালীনও গার্মেন্টস পণ্য এর আওতা-বহির্ভূত ছিল।’
তিনি বলেন, ‘এ সুবিধা ব্যতিরেকেই উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানির একক বৃহত্তম বাজারে পরিণত হয়েছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র তাদের জিএসপি পদ্ধতি পুনঃপ্রবর্তন করেনি। জিএসপি সুবিধা পুনরায় চালু হলে তাতে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি ও সেক্ষেত্রে গার্মেন্টস পণ্যকেও জিএসপির আওতায় আনার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বার্ষিক বাণিজ্য সংলাপে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নিয়মিতভাবে এ দাবি উত্থাপন করা হয়। এ ছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ক্রয় করা তুলা দিয়ে উৎপাদিত গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল পণ্যের যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের দাবিও বাংলাদেশ সরকার উত্থাপন করেছে।
প্রসঙ্গত, কোন বিশেষ আঞ্চলিক চুক্তি/সহায়তা কার্যক্রম যেমন ক্যারিবিয়ান রাষ্ট্রগুলোর জন্য ক্যারিবিয়ান বেসিন ইনিসিয়েটিভ (সিবিআই) কিংবা সাব-সাহারান রাষ্ট্রগুলোর জন্য আফ্রিকান গ্রোথ এন্ড অপর্চুনিটি অ্যাক্টের (এজিওএ) মত বিশেষ ব্যবস্থা অথবা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) ব্যতীত কোন দেশই সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রে গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানীতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পায় না।