মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

শিরোনাম

গ্রীষ্মের শুরুতে ব্রঙ্কসে বিভিন্ন শাকসবজির চাষ

সোমবার, এপ্রিল ২১, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক: সবজি চাষ বাংলাদেশের মানুষের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। জীবনের বাঁচার তাগিদে খাদ্যের চাহিদা মেটাতে নিজেরা চাষাবাদ করে থাকেন। তাই বলে প্রবাসে এসে কি থেমে থাকবে? না বাংলাদেশের মানুষের জীবন যাপনে সুযোগ কখনো
নষ্ট করেন না। নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার গলিতে গিয়ে দেখা মিলবে বাংলাদেশী মানুষের বাড়ি তা সহজে চেনার উপায় বাড়ীর মধ্যে বিভিন্ন শাকসবজির গাছ।

বিদেশি মানুষের বাড়িতে যেখানে ফুলের গাছ অপরদিকে বাংলাদেশীদের বাড়িতে শাকসবজির বাগান এখানেই পার্থক্য। অনেকেই সময়ের অভাবে বীজ থেকে চারা তৈরি করতে পারেন না। তাই বলে সবজির চাষ বন্ধ থাকবে না চলবে।

ব্রঙ্কস বাংলাবাজারে বিভিন্ন দোকানে গিয়ে শাকসবজির চারা বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে। গ্রীষ্মকালে পুরো মৌসুমে সবজির আবাদ চলে ব্যাপক হারে। যেহেতু শীতকালে কোন সবজির চাষ করা যায় না। অতি শীতের জন্য তাই গ্রীষ্মকালেই শাকসবজির আবাদ হয় বেশি।

দোকানীরা মৌসুমের শুরুতেই বিভিন্ন সবজি ও ফুল ফলের চারা বিক্রি করে থাকেন। বিশেষ করে টমেটো, লাল শাক, লাউ, মরিচ, কফি, বেগুন, সিমসহ বিভিন্ন ধরনের চারাগাছ। এক সময় সহজে বীজ বা চারা পাওয়া যেত না আমেরিকায়। আর এখন খুব সহজেই হাতের কাছে পাওয়া যাচ্ছে বাংলাদেশী অধ্যুষিত এলাকার বাঙালি বাজারগুলোতে।

যারা প্রাইভেট বাড়ীতে বসবাস করেন, তাদের শাকসবজি চাষের সুবিধা একটু বেশি। তারা নিজেরা সবজি চাষ করে নিজেরা খান এবং
আত্মীয় স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের উপহার হিসেবে দিয়ে থাকেন।

সম্প্রতি বাংলাদেশী প্রবাসীদের মধ্যে ব্যাপক হারে বেড়েছে এই বিভিন্ন শাকসবজি চাষের প্রবণতা। আবার যাদের বাড়িতে বাড়তি খালি জায়গা রয়েছে তারা ছোট আকারে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করে বিভিন্ন বাঙালি দোকানে বিক্রি করে বেশ লাভবান হয়ে থাকেন। আবার অনেকে বন্ধু বান্ধবকে দাওয়াত দিয়ে শাকসবজির বাগান দেখিয়ে আত্মতৃপ্তি লাভ করেন।