শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

গ্রেফতার নয়; গাঁজাখোরদের পাশে বাইডেন/নেপথ্যে রয়েছে অন্য অংক

রবিবার, অক্টোবর ৯, ২০২২

প্রিন্ট করুন

সিবিএন টিভি ইউএসএ প্রতিবেদন: কম পরিমাণে গাঁজা রাখলে আর গ্রেফতার নয়। প্রকাশ্যে গাঁজাখোরদের পাশে দাঁড়ালেন স্বয়ং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) তিনি বলেন, ‘গাঁজা রাখার জন্য প্রতি বছর হাজার হাজার মার্কিনির হাজতবাস হয়। ফলে শিক্ষা থেকে শুরু করে কর্মসংস্থান- সব কিছু থেকেই বঞ্চিত হন তারা।’ এ ধরনের কেসে জড়িয়ে পড়ে যেসব যুবকদের জীবন নষ্ট হচ্ছে, তাদের পাশে দাঁড়াতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাইডেন। যদিও মার্কিন রাজনীতির গলি ঘুঁজির খোঁজ রাখা বিশেষজ্ঞদের দাবি, এর পিছনে রয়েছে অন্য অংক। আসলে গত কয়েক বছরে গাঁজা রাখার অপরাধে গ্রেফতারির সংখ্যা মার্কিন মুলুকে অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গিয়েছে। এর ফলে জেলগুলির উপর চাপ বাড়ছে। সেই চাপ কমাতেই এবার গ্রেফতারি এড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।

এ ইস্যুতে বলতে গিয়ে বর্ণ বৈষম্যের বিষয়ও তুলেছেন বাইডেন। তার কথায়, ‘গাঁজা রাখার অভিযোগে সাদা, কাল ও পীত বর্ণের মানুষরা গ্রেফতার হন। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কাল ও পীত বর্ণের মানুষদের বিরুদ্ধেই মামলা চলে। তারাই শাস্তির মুখে পড়েন।’ এতে সমাজে বৈষম্য বাড়ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।

বলে রাখা ভাল, মার্কিন আইন অনুযায়ী, গাঁজা রাখার অভিযোগে কেউ গ্রেফতার হলে তার পক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেন না তিনি। পাশাপাশি, চাকরিতে যোগ দেয়ার ক্ষেত্রেও বহু বাধার সম্মুখীন হতে হয় তাকে। ‘এ ভুলগুলো শুধরে নেয়ার এটাই সঠিক সময়।’ বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বলেছেন জো বাইডেন।

মার্কিন ফেডারেল আইন অনুযায়ী, অতি ক্ষতিকারক মাদকের তালিকায় রয়েছে গাঁজার নাম। সেই তালিকা থেকেও এবার গাঁজাকে বাদ দেয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন বাইডেন। সূত্রের খবর, এ নিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের চিন্তাভাবনাও করতে বলেছেন তিনি।

গত শতাব্দীতে পৃথিবীর মধ্যে প্রথম বার মাদক বিরোধী আইন নিয়ে এসেছিল যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকার দেখাদেখি পরবর্তী এ ধরনের আইন অন্যান্য দেশেও তৈরি হয়। ভারতের নিষিদ্ধ হয় গাঁজা সেবন। যুক্তরাষ্ট্রের কিছু কিছু এলাকায় এখনো মাদক মাফিয়ার দাপট রয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, বাইডেনের এ ধরনের পদক্ষেপের ফলে ফের মাদক মাফিয়াদের উৎপাত বাড়তে পারে। তাছা়ড়া এ ধরনের পদক্ষেপ মার্কিন সমাজে অপরাধের সংখ্যা বাড়াতে পারে বলেও মনে করছেন তারা। তবে বৃহস্পতিবার বাইডেনের ওই বক্তব্যের সাথে সাথেই কিন্তু আইন বদল হচ্ছে না আমেরিকায়। কবে থেকে আইন বদল হবে, তা এখনো জানায় নি ওয়াশিংটন।