সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: চট্টগ্রাম বন্দরে সর্বোচ্চ অ্যালার্ট-৪ জারি, বিমানবন্দর বন্ধ থাকবে আট ঘণ্টা

রবিবার, মে ২৬, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে নয় নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একইসাথে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে দশ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ দিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংকেত দেখে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক) সর্বোচ্চ অ্যালার্ট-৪ জারি করেছে। রেমালের প্রভাবে বৈরী আবহাওয়ায় চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আট ঘণ্টা ফ্লাইট ওঠা-নামা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

চবকের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংকেত ৬ এর ওপরে ওঠার পর থেকে বহির্নোঙরে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। জেটিতে নতুন করে কোন জাহাজ ভেড়ানো হচ্ছে না। মাদার ভেসেলগুলো বহির্নোঙরে থাকবে। এছাড়া, লাইটার জাহাজগুলোকে কর্ণফুলীর উজানে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। বন্দরের জেটিতে অপারেশনাল ইকুইপমেন্ট নিরাপদে রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’

চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আট ঘণ্টা ফ্লাইট ওঠা-নামা বন্ধ থাকবে বলে নিশ্চিত করে বিমানবন্দরটির পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ বলেন, ‘রোববার (২৬ মে) দুপুর ১২টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠা-নামা বন্ধ থাকবে। প্রাথমিকভাবে রাত আটটা পর্যন্ত এ ঘোষণা বহাল থাকবে। তবে, এখনো স্বাভাবিকভাবে ফ্লাইট চালানো হচ্ছে। কোন ফ্লাইট বাতিল হয়নি।’

এ দিকে, রোববার (২৬ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তি-১০ এ জানানো হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় (১৯.৫০ উত্তর অক্ষাংশ ও ৮৯.৪০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি রোববার (২৬ মে) সকাল ছয়টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

ঘূর্ণিঝড়টি আরো উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে রোববার (২৬ মে) সন্ধ্যা বা মধ্যরাত নাগাদ মোংলার নিকট দিয়ে সাগর আইল্যান্ড (পশ্চিমবঙ্গ) খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে পারে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে।