শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন/ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটালাইজ করে জনগণের দ্বারে সেবা দেয়া হচ্ছে

সোমবার, মে ২২, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন সাধারণ মানুষের ভূমির অধিকার নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মওকুফ করে দিয়েছিলেন। কারণ, দেশের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নতিই ছিল তার একমাত্র লক্ষ্য। তারই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছে ও ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটালাইজ করে জনগণের দ্বারে সেবা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।

অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান, ই-নামজারী, ই-পর্চা, অনলাইন জলমহাল ব্যবস্থাপনা, ডিজিটাল রেকর্ডরুম হতে মৌজাম্যাপ ও পর্চা ডাকযোগে সরবরাহসহ বিভিন্ন সেবা ইতিমধ্যেই জনগণকে দেয়া হচ্ছে। ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম সর্ম্পকে সাধারণ নাগরিকের সচেতনতা সৃষ্ঠির লক্ষ্যে ২২-২৮ মে পর্যন্ত পুরো দেশে ভূমি সেবা সপ্তাহের কাজ চলবে।

এর ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম জেলাসহ এ বিভাগের ১১টি জেলা, ১০৩টি উপজেলা, সার্কেল ও সব ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ভূমি সেবা সপ্তাহ-২০২৩ উদযাপন করা হবে। ভূমি সেবা সপ্তাহ-২০২৩ এর মূল থিম হল- ‘স্মার্ট ভূমি সেবায় ভূমি মন্ত্রণালয়’।

সোমবার (২২ মে) চট্টগ্রাম সিটি সদর সার্কেল ভূমি অফিসে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও সদর সার্কেলের সাথে সমন্বয়পূর্বক ‘ভূমি সেবা সপ্তাহ-২০২৩’ উদ্বোধন করেছে। বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কর্তৃক যৌথভাবে আগামী ২৭ মে চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম হলে ‘ভূমি সেবা সপ্তাহ-২০২৩’ সংক্রান্ত জনসচেতনতামূলক আলোচনা সভা কবে।

এ উপলক্ষে সোমবার (২২ মে) বিকালে ভূমি সেবা সপ্তাহ-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে প্রেস ব্রিফিং করেছেন চট্টগ্রাম বিভাগের কমিশনার আমিনুর রহমান ও চট্টগ্রাম জেলার প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

ভূমি সেবা সপ্তাহ-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে সেবাগ্রহীতাদের যে সব সেবা দেয়া হবে- চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম মাঠে দশটি স্টলের মাধ্যমে আগত সেবা প্রার্থীদের সেবা দেয়া হবে। দশটি স্টলের মধ্যে ছয়টি স্টলে মহানগরের ছয়টি সার্কেল ভূমি অফিসের ভূমি বিষয়ক যাবতীয় সেবা দেয়া হবে। একটি স্টলের মাধ্যমে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এলএ শাখা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সেবা দেয়া হবে। একটি স্টলের মাধ্যমে রেকর্ড রুমের খতিয়ান সরবরাহ সংক্রান্ত সেবা এবং অপর দুইটি স্টলের মাধ্যমে বাংলাদেশের যে কোন প্রান্তের ভূমি বিষয়ক সেবা অর্থাৎ অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান, ই-নামজারীর আবেদনসহ অন্যান্য সেবা দেয়া হবে।