রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমিতে হল দুই দিনের বাঙলা মূকাভিনয় উৎসব

বুধবার, মে ৩১, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: বাঙলা মূকাভিনয় গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে দুই দিনের বাঙলা মূকাভিনয় উৎসব সম্পন্ন হয়েছে। মূকাভিনয় রীতি নির্মাণ, চর্চা, গবেষণা ও শিল্পটিকে প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে সোমবার (২৯ মে) ও মঙ্গলবার (৩০ মে) ‘মূক ভাষায় বাঙলার সংস্কৃতি’ শিরোনামের এ উৎসবটি অনুষ্ঠিত হয়।

মঙ্গলবার (৩০ মে) সন্ধ্যায় একাডেমির আর্ট গ্যালারিতে ছিল উৎসবের সমাপনী আয়োজন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাধীনতা সাংস্কৃতিক পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি মৃণাল কান্তি বড়ুয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন নাট্যজন মোস্তফা কামাল যাত্রা। সভাপতিত্ব করেন বাঙলা মূকাভিনয় গবেষণা কেন্দ্রের মহাপরিচালক কাজী মশহুরুল হুদা। স্বাগত বক্তৃতা করেন গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ও সম্পাাদক রিজোয়ান রাজন। মূল পর্বে মূকাভিনয় করে দেওয়ান মামুন, ঢাকার মনন মাইম থিয়েটার ও মিরর মাইম থিয়েটার, চট্টগ্রামের প্যান্টোমাইম মুভমেন্ট ও নাট্যাধার।

এর আগে সোমবার (২৯ মে) সন্ধ্যায় একাডেমির প্রাঙ্গণে বিনয়বাঁশী শিল্পী গোষ্ঠীর ঢোল বাদনের মাধ্যমে উৎসব শুরু হয়। এরপর প্যান্টোমাইম মুভমেন্ট পরিবেশন করে মূকাভিনয় ‘শব্দ জট’। উদ্বোধনী আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন নাট্যজন শিশির দত্ত। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংবাদিক নাজিম উদ্দীন শ্যামল। সভাপতিত্ব করেন কাজী মশহুরুল হুদা। মূকাভিনয় করে প্যান্টোমাইম মুভমেন্ট, থিয়েটার সার্কেল মাইম ট্রুপ মুন্সিগঞ্জ, মিরর মাইম থিয়েটার, দ্য মামার্স ঢাকা।

দুই দিনের অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘চট্টগ্রামে মুকাভিনয় অত্যন্ত গুরত্বের সাথে চর্চা হয়। নাট্য আন্দোলন, শিল্প আন্দোলনে চট্টগ্রাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এসব জায়গায় চট্টগ্রাম বাংলাদেশে নেতৃত্ব স্থানে আছে। চট্টগ্রাম বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখলেও তার স্বীকৃতি পায় না। সবকিছু রাজধানী কেন্দ্রীক। প্রবাসে অবস্থান করেও বাংলাদেশে মূকাভিনয় চর্চায় ভূমিকা রেখে চলেছেন কাজী মশহুরুল হুদা। বাংলাদেশে মূকাভিনয়ের একটা পৃথক স্বত্বা আছে। রিজোয়ান রাজনের হাত ধরে চট্টগ্রাম এখন মূকাভিনয়ের রাজধানী। মূকাভিনয় পৃথিবীর আদি শিল্প। শিল্প চর্চা করলে মানুষকে স্বপ্ন দেখানো যায়। শিল্প চর্চা মানুষকে সত্যের সন্ধান দেয়। শিল্প ও সাহিত্যে বাংলা সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে হবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তুলে ধরতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তুলে ধরতে হবে। বাংলাদেশে মূকাভিনয় চর্চা খুবই ধীর। শিশুদেরকে অ, আ থেকে মূকাভিনয় চর্চা করাতে হবে। তাহলে, মূকাভিনয় প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছাবে।’

দুই দিনের অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন ইশরাত জাহান চৌধুরী শিপা। সহযোগিতায় ছিলেন নাজিফা তাবাচ্ছুম, সার্বিক ব্যবস্থাপনায় মূকাভিনেতা সোলেমান মেহেদী। আইটি সাপোর্ট ও আবহ সঙ্গীতে রাইদাঁদ অর্ণব।