চট্টগ্রাম: বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের উদ্যোগে সিটির এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম ও তৎসংলগ্ন মাঠে প্রাকৃতিক রাবার চাষের সাথে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডার ও রাবার ভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণে প্রথম বারের মত হতে যাচ্ছে প্রাকৃতিক রাবার ও রাবারভিত্তিক শিল্পপণ্য মেলা- ২০২২।
মেলার বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকবে সেমিনার, কুইজ, চিত্রাংকণ ও রচনা প্রতিযোগিতা, রাবারচাষ ও শিল্পপণ্যভিত্তিক ভিডিও প্রদর্শন ও শিল্পপণ্যের সমাহার। প্রদর্শনী ও ক্রয়-বিক্রির সুযোগ থাকবে।
৭-১৪ সেপ্টেম্বর সাত দিনের এ মেলা সকাল নয়টা হতে রাত আটটা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
উল্লেখ্য, প্রাকৃতিক রাবারের বহুবিধ ব্যবহার বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত। শিল্প কারখানা, যোগাযোগ ব্যবস্থার নির্মাণ সামগ্রী, রাস্তার কার্পেটিং, বিমান, বাস, ট্রাক, প্রাইভেট কার, বেবি ট্যাক্সি, মোটরসাইকেল, রিক্সা, বাইসাইকেলের টায়ার-টিউব, চপ্পল, হোস পাইপ, রাবার সোল, বাকেট, গ্যাসকেট, অয়েলসিল, পাট ও বস্ত্রশিল্পের বিভিন্ন উপকরণ, ফোমম্যাটরেস, ব্যাটারির বক্স, স্প্রিং, বেলন, গরম পানির বোতল, সীল, কনডম, রান্নর সামগ্রী, ওয়েটস্যুট, কনভেয়র বেল্ট, প্যাড, বাম্পার, রাবার ম্যাট, পিচ্ছিলরোধী ফ্লোর ম্যাট, নৌকার ম্যাট, সার্জিক্যাল গোভ, বিভিন্ন চিকিৎসা সামগ্রী, প্যাসিফায়ার, খেলনা ইত্যাদি রাবার থেকে তৈরি হয়। রাবার থেকে হাজার হাজার দ্রব্যসামগ্রী উৎপাদিত হয়। এর আগে রাবার কাঠ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হলেও বর্তমানে বিএফআইডিসির শিল্প ইউনিটগুলোতে ট্রিটমেন্ট ও সিজনিং করে বিভিন্ন ধরনের উন্নতমানের আসবাবপত্র যেমন সোফাসেট, খাট, দরজা-জানালা, ডাইনিং টেবিল, চেয়ার ইত্যাদি তৈরি করে দেশে-বিদেশে রফতানি করা হচ্ছে। ট্রিটমেন্ট ও সিজনিং করা রাবার কাঠের গুণগতমান সেগুনকাঠের সমপর্যায়ের; যা খুব টেকসই ও সুন্দর।
বাংলাদেশ রাবার বোর্ড আইন, ২০১৩ (২০১৩ সালের ১৯ নম্বর আইন) অনুযায়ী, ২০১৩ সালের ৫ মে বাংলাদেশ রাবার বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হয়। রাবার বোর্ডের নিজস্ব কোন জনবল না থাকায় বোর্ডের দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ২০১৯ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনকে (বিএফআইডিসি) দায়িত্ব দেয়া হয়। ২০১৯ এর ৩০ এপ্রিল হতে আলাদা দপ্তর হিসেবে বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের কার্যক্রম শুরু হয়।