বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

চলচ্চিত্র শিল্পের পুণরুত্থানে তথ্য মন্ত্রী ও সরকারকে সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদের ধন্যবাদ

বৃহস্পতিবার, জুলাই ৬, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: দেশে চলচ্চিত্র শিল্পের পুণরুত্থানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদ।

বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন, পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াৎ, মহাসচিব শাহিন সুমন, সাংস্কৃতিক সচিব শাহিন কবির টুটুল, চলচ্চিত্রগ্রাহক সংস্থার সভাপতি আব্দুল লতিফ বাচ্চু, চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস, সদস্য ইউনুস রুবেল, সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদের সদস্য সচিব শাহ আলম কিরণ, এডিটরস গিল্ড সভাপতি আবু মুসা দেবু, চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস, প্রযোজক অপূর্ব রানা প্রমুখ সাম্প্রতিককালে চলচ্চিত্র জগতের ঘুড়ে দাঁড়ানোর প্রেক্ষিতে তথ্য মন্ত্রীকে ফুলের শুভেচ্ছা দেন ও ধন্যবাদ জানান। তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

চলচ্চিত্র পরিষদ নেতারা তাদের বক্তৃতায় বলেন, ‘ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে আটটি ও ঈদ-উল-আযহার সময় পাঁচটি মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র সারা দেশে দর্শকদের মাঝে সাড়া জাগিয়েছে। বন্ধ হয়ে যাওয়া অনেক সিনেমা হল খুলেছে। সরকার সিনেমা হল নির্মাণ ও সংস্কারে এক হাজার কোটি টাকার সহজ ঋণ তহবিল দিয়েছে, বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রে অনুদান দিচ্ছে। এসবই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ও তথ্য মন্ত্রী হাছান মাহমুদের নিরলস প্রচেষ্টার ফসল। এ জন্য আমরা মন্ত্রী ও সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।’

কাজী হায়াৎ তথ্য মন্ত্রীকে ‘চলচ্চিত্রের বন্ধু’ আখ্যা দেন। সুদীপ্ত দাস সহজ ঋণে দেশব্যাপী সিনেমা হল গড়ে তুলতে অব্যাহত প্রচেষ্টার অঙ্গীকার করেন। ইলিয়াস কাঞ্চন ভাল কনটেন্ট নির্মাণের ও শাহিন সুমন বাণিজ্যিক সিনেমায় অনুদান বৃদ্ধির আহবান জানান। আবু মুসা দেবু তথ্য কমপ্লেক্সগুলোতে সিনেমা হল রাখার অনুরোধ জানান।

হাছান মাহমুদ চলচ্চিত্র পরিষদের প্রতিনিধিদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘ভাল কাজের প্রশংসা হলে অনুপ্রেরণা পাওয়া যায়। আমাদের দেশে ভাল কাজের প্রশংসা তেমন হয় না, কোন ভুল হলে সেটি নিয়েই মাতামাতি হয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘বুধবার (৫ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি, সিনেমা হলের সংখ্যা ১০০’র নিচে নেমেছিল, এখন বেড়ে এক পর্দার সিনেমা হল আর সিনেপ্লেক্স মিলে প্রায় ২০০ হল চলছে। শুনে তিনি অত্যন্ত খুশি হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী চলচ্চিত্রের বড় সুহৃদ।’

‘চলচ্চিত্র শিল্পের এ ঘুরে দাঁড়ানোর পেছনে শুধু সরকারের সহযোগিতাই কাজ করেছে তা নয়, চলচ্চিত্র জগতের সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও এ শিল্পের সাথে থাকা, শিল্পকে ধরে রাখা, সিনেমা বানানো ও লোকসান দিয়েও হল বন্ধ করে না দেয়া- এগুলো নিশ্চিতভাবে কাজ করেছে’ বলেন সম্প্রচারমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমাদের পরিচালক, শিল্পী-কলাকুশলীরা বিশ্বমানের, অনেক আন্তর্জাতিক উৎসবে তারা পুরস্কৃত হয়েছেন। আমাদের লক্ষ্য দেশের চলচ্চিত্র শিল্পকে বিশ্বাঙ্গণে নিয়ে যাওয়া।’