দিনাজপুর: শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে প্রকার ভেদে আমদানিকৃত চালের দাম কেজি প্রতি পাঁচ থেকে সাত টাকা করে কমেছে।
ভারত থেকে আমদানিকৃত চালের শুল্ক সরকার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিকরা ২৮৮ ট্রাক চালক খালাস করেছে। খালাসকৃত চাল দেশের বিভিন্ন স্থানে পাইকারী বাজারে বিক্রি হওয়ায় চালের বাজার কমতে শুরু করেছে।
দিনাজপুর হিলি স্থলবন্দর কাষ্টমস্ অধিদপ্তরের সহকারী কমিশনার মো. কামরুল হাসান শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর দুইটায় তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের জানান, পূর্বের নির্ধারিত কাস্টমস্ বিভাগের জারিকৃত পরিপত্রে ভারত থেকে আমদানিকরা চাল ২৫ শতাংশ কর বেঁধে দেয়া ছিল। চালের বাজার হঠাৎ করে মজুদদারদের কারনে বৃদ্ধি পাওয়ায় খাদ্য অধিদপ্তর আমদানিকারকদের চাল আমদানি করার জন্য তাগিদ দেন ও চালের কর হ্রাস করা হবে বলে তাদেরকে আশ্বস্ত করেছিলেন।
দিনাজপুর হিলি স্থলবন্দরের আমদানি রফতানি কারক এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. হারুল অর রশিদ জানান, খাদ্য অধিদপ্তরের আশ্বাস অনুযায়ী দিনাজপুর হিলি স্থলবন্দরের সাতজন আমদানিকারক ভারত থেকে চাল আমদানির জন্য গত আগস্ট মাসে প্রথম সপ্তাহে এলসি খোলেন। এলসি অনুযায়ী গত ২৫-২৮ আগস্ট পর্যন্ত ২৮৮টি ট্রাকে প্রায় সাড়ে নয় হাজার টন চাল ভারত থেকে আমদানি করা হয়। কিন্তু হিলি স্থলবন্দর কাস্টমস্ কর্তৃপক্ষ পূর্বের জারি করা ২৫ শতাংশ কর প্রদান করা না হলে চাল খালাসে বাধা দেয়। বিষয়টি বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হলে খাদ্য অধিদপ্তর ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের মত ভার্চ্যুয়ালি আলোচনায় করের পরিমাণ হ্রাস করে পাঁচ শতাংশ করা হয়। ফলে বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে চালগুলো হিলি স্থলবন্দর পানামা পোর্টে খালাসের কার্যক্রম শুরু হয়।
শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে খালাসকৃত চালগুলো দেশের বিভিন্ন জেলায় ট্রাক যোগে পাইকারী বাজারে ছেড়ে দেয়া হয়।
হিলি আমদানি রফতানিকারক এসোসিয়েশনের নেতারা বলেন, ‘চালের বাজার কেজি প্রতি পাঁচ টাকা থেকে সাত টাকা কমে গেছে। ফলে স্বর্ণ চাল ৫৭ টাকা কেজি বিক্রি হলেও শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ৫০ টাকা কেজিতে খুচরা বাজারেই পাওয়া যাচ্ছে। মিনিকেট চাল ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও তা ৬৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এভাবেই চালের প্রকার ভেদ অনুযায়ী প্রতিটি চাল কেজি পাঁচ থেকে সাত টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।
চাল আমদানিকারক শাহ আলম জানান, তাদের আমদানিকৃত চাল স্বল্প লাভেই বাজারে ছেড়ে দিচ্ছেন। কারণ খাদ্য অধিদপ্তরের পরামর্শ অনুযায়ী তারা আমদানিকৃত চাল বাজারে ছেড়ে দেয়ায় চালের বাজার স্বল্প সময়ের মধ্যেই ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আসবে বলে তিনি আস্বস্ত করেন।