ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র: চীন সফরে যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে তার দুই দিনের সরকারি সফর শুরু হবে। তাইওয়ান, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও অন্যান্য ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কে টানাপড়েনের মধ্যে তার এ সফরের ঘোষণা এল। খবর রয়টার্সের।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অ্যান্থনি ব্লিংকেনের সফর পরিকল্পনার খবরটি নিশ্চিত করেছে। বিষয়টি নিয়ে ওয়াশিংটনের সাথে বেইজিংয়ের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেছেন, ‘ব্লিংকেনের সফরকে আমরা স্বাগত জানাই। সফরের নির্দিষ্ট কিছু বিষয় নিয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বেইজিং আশা করছে যে, যুক্তরাষ্ট্র চীন সম্পর্কে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করবে, বিরোধের বদলে সংলাপকে বেছে নেবে এবং জিরো-সাম চিন্তাধারার পরিবর্তে উইন-উইন মনোভাব ধারণ করবে।’
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ব্লিংকেন আগামী ৫-৬ ফেব্রুয়ারি চীন সফর করবেন এবং বেইজিংয়ে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রী ছিন গাংয়ের সাথ্যে বৈঠকে মিলিত হবেন।’
এ দিকে, আগামীকাল যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের আরো দুজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বৈঠক হতে চলেছে। সুইজারল্যান্ডের জুরিখে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী লিউ হের সাথে বৈঠক করবেন। এর আগে জ্যানেট ইয়েলেন ও লিউ হে পরস্পরের সাথে তিনটি ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেন। জুরিখে দুই কর্মকর্তার মধ্যে প্রথম সরাসরি সাক্ষাত হচ্ছে। এ সময় তারা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও দুই দেশের যোগাযোগ জোরদারের বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানান।
গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি২০ সম্মেলন চলাকালে বৈঠক করেন। এ সময় তারা বাণিজ্য, মানবাধিকার, তাইওয়ান ও অন্যান্য ইস্যুতে কয়েক বছরের বৈরিতাকে পেছনে ফেলে দুই দেশের যোগাযোগ বৃদ্ধির অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।