শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

জনগণ শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন চায় না

রবিবার, এপ্রিল ১৬, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: ‘জনগণ শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন চায় না। জনগণ এ সরকারের পদত্যাগ চায়। কারণ, এ সরকার বিগত নির্বাচনে কি করেছে, তা সবাই জানে। তাই, আগে সরকারকে পদত্যাগ করতেই হবে। তারপর রাষ্ট্রের কাঠামো মেরামত করতে হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। সেই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনে যাবে।’ বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

রোববার (১৬ এপ্রিল) বিকালে সিটির কাজীর দেউড়ীস্থ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ, গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ ফিরে পাবে কিনা সংশয় কাজ করছে। শুধু দেশের ভেতর নয়, দেশের বাইরেও এটি নিয়ে কথা উঠছে। সবাই বিএনপির দিকে তাকিয়ে। ইতিমধ্যে বিএনপির নেতাকর্মীরা সড়কে আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ ও বিদেশের কাছে বার্তা দিয়েছে, এ ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায় ছাড়া কোন আপোষ নয়। এ সরকারের বিদায়ের জন্য যা যা করা দরকার; বিএনপির নেতাকর্মীরা করবে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অবৈধ সরকার রাজনৈতিকভাবে পরাজিত। ওদের কোন রাজনৈতিক অবস্থান নাই। আওয়ামী লীগের রাজনীতি শেখ হাসিনা ধ্বংস করে দিয়েছে। তাদের নেতাকর্মীরা রাজনীতি থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। তাদের শিক্ষা দেয়া হয়েছে, ভোট কীভাবে চুরি করতে হয়। শিক্ষা দেয়া হয়েছে টেন্ডারবাজি, জায়গা দখল, ব্যবসায় দখল, দুর্নীতি কীভাবে করতে হয়। অপর দিকে, বিএনপির নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের নিয়ে ভাবছে, আগামী রাষ্ট্র কীভাবে হবে সেটি নিয়ে চিন্তা করছে। বিএনপি নেতাকর্মীরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানুষের অধিকারের কথা বলছে। এ জন্য কত নির্যাতনের শিকার হয়েছে, তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। তবুও জনগণের পাশে বিএনপি। ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে এ সরকার। অনেককে হত্যা করেছে, গুম করেছে, জেলে পুরেছে। তারপরও আমরা সরে দাঁড়ায়নি। সুতরাং, আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, ‘দেশের মানুষ অতীব কষ্টে, রাগে, ক্ষোভে ফুসে উঠেছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারকে এ দেশের জনগণ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এ সরকার একটি দুর্নীতিবাজ সরকার। দুর্নীতির কারণে আজ দেশের বেহাল দশায় হয়েছে। এ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে। আপনাদের প্রস্তুতি নিতে হবে, বীর চট্টলা থেকেই সরকার পতনের আন্দোলন সূচনা হবে।’

শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘বিদ্যুৎ নেই, পানি নেই, গ্যাস নেই। তাই, এ স্বৈরাচার সরকারেরও আর দরকার নেই। এটাই আজ জনগণের কথা। দেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পাশাপশি বিদ্যুতের সীমাহীন লোড়শেডিং শুরু হয়েছে। মানুষ প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে নিয়ে সরকার নিয়মিত জাতির সাথে প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার করেছে। কুইক রেন্টালের নামে সরকার দুর্নীতি ও লুটপাটে ব্যস্ত। রমজান মাসে ধর্মপ্রাণ মানুষ ঠিকমত ইবাদত করতে পারছে না। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে দেশের মানুষের জীবনযাপন খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। মানুষের পেটে খাবার নেই। নিত্য পণ্যের অস্বাভাবিক দাম। জনগণই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।’

উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে দেশবাসী অতিষ্ঠ। দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন করতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের ভোট চুরির ঘটনা, এখন বিশ্ববাসী জেনে গেছে। তারা মনে করেছে, তাদের ভোট চুরির কথা কেউ টের পায়নি।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসএম ফজলুল হক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশের জনগণকে ভয় ভীতি দেখিয়ে রাতে ভোট করে ক্ষমতায় যেতে পারবে না। দেশের জনগণ তত্ববধায়ক সরকরের অধিনে আগমাী নির্বাচনের দাবি আদায় করে ছাড়বে।’

আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, ‘জোর করে, মানুষ হত্যা, গুম, খুন করে, জনগনণকে ভয় দেখিয়ে, অবৈধভাবে রাতে ভোট করে ১৪ বছর ক্ষমতা আছেন। আগামীতে একদলীয়ভাবে কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবে না।’

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার, বিএনপির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী, সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এমএ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, আবদুস সাত্তার, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, হারুন জামান, মো. আলী, মাহবুব আলম, মুফিজুল হক ভূঁইয়া, পেশাজীবী নেতা জাহিদুল করিম কচি, .খুরশিদ জামিল, জসিম উদ্দিন, তমিজ উদ্দিন মানিক, নজরুল কাদির, এনামুল হক, হাসান আলী, নিয়াজ মো. খান, এসএম আবুল ফয়েজ, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাশেম, মঞ্জুর আলম মঞ্জু, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মঞ্জুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, মো. কামরুল ইসলাম, যুবদলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ সভাপতি মুহাম্মদ শাহেদ, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইকবাল হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচএম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েতহোসেন বুলু, মহিলা দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ফাতেমা বাদশা, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, শ্রমিক দলের শেখ নূরউল্লাহ বাহার, থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, মোহাম্মদ আজম সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন, নূর হোসেন, কৃষক দলের আহবায়ক মো. আলমগীর, তাঁতী দলের মনিরুজ্জমান টিটু, জাসাসের এমএ মুছা বাবলু, মৎসজীবী দলের নুরুল হক।