সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

জাতীয় পর্যায়ে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার ২০২২’ পেল ফুডপ্যান্ডা

বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১৫, ২০২২

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: ডিজিটাল রূপান্তর ও তরুণদের জন্য আয়ের পথ তৈরিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় পর্যায়ে বেসরকারি প্রাতিষ্ঠানিক শ্রেণিতে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার ২০২২’ পেয়েছে অনলাইন ফুড ও গ্রোসারি ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশ। দেশের প্রথম কোন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে সম্মানজনক এ স্বীকৃতি পেল মার্কেটপ্লেসটি।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০২২’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দা আম্বারীন রেজা এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জুবায়ের বিএ সিদ্দিকীর হাতে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার ২০২২’ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, কয়েকজন সাংসদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব ও এ খাতের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশে ২০১৩ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে অংশীদারদের সাথে নিয়ে একটি শক্তিশালী ডিজিটাল ইকোসিস্টেম তৈরিতে সফলভাবে কাজ করছে ফুডপ্যান্ডা। প্রতিষ্ঠানটি শীর্ষ স্থানীয় মার্কেটপ্লেস হিসেবে রেস্তোরাঁ এবং শপকে ক্রেতা ও ডেলিভারি পার্টনাদের সাথে যুক্ত করেছে। বড় ধরণের বিনিয়োগের ঝুঁকি ছাড়াই ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা, বৃহৎ রেস্তোরাঁ পার্টনার, শপস ও হোমশেফদের ডিজিটালি রূপান্তর করেছে ফুডপ্যান্ডা। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির তৈরি মার্কেটপ্লেসের সহায়তায় গত সাত বছরে দেশের রেস্তোরাঁ খাত বিকশিত হয়েছে। এ মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে মাত্র ৩০ মিনিটে খাবার, গ্রোসারি, ওষুধসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী গ্রাহকের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে।

মার্কেটপ্লেসটি তাদের প্রযুক্তি এবং অ্যাপের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্স রাইডারদের যুক্ত করেছে ও তরুণদের জন্য বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। পাশাপাশি তাদের জীবনমান উন্নয়ন এবং সুরক্ষার জন্য মার্কেটপ্লেসটির মাধ্যমে বীমা, প্রশিক্ষণ, ঋণ ও অনলাইন শিক্ষার সুযোগ তৈরি হয়েছে। দেশজুড়ে ৬৪ জেলায় সেবা বিস্তারসহ প্রযুক্তি ভিত্তিক এ ইকোসিস্টেমের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দশ লাখের বেশি মানুষের আয়ের পথ তৈরি করেছে ফুডপ্যান্ডা। এছাড়া নারী উদ্যোক্তাদের সমৃদ্ধির জন্য ফুডপ্যান্ডার বিভিন্ন উদ্যোগ রয়েছে। প্ল্যাটফর্মটির হোমশেফ কর্মসূচিতে তিন হাজারের বেশি হোমকুক সক্রিয় রয়েছেন। যাদের ৭০ শতাংশই নারী। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সাতটি সূচক নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি খাবারের অপচয় রোধে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন ও আরো কয়েকটি সংস্থার সাথে যৌথ অংশীদারিত্বে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে মার্কেটপ্লেসটি।

ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি ও তরুণদের আয়ের সুযোগ তৈরি করার জন্য প্রতিষ্ঠানটির প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী এবং আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান সৈয়দা আম্বারীন রেজা ও জুবায়ের বিএ সিদ্দিকী।

পুরস্কার প্রাপ্তির বিষয়ে জুবায়ের বিএ সিদ্দিকী বলেন, ‘দেশের ডিজিটাল ইকোসিস্টেম তৈরির ক্ষেত্রে ফুডপ্যান্ডার ভূমিকা অগ্রগণ্য। অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি রেস্তোরাঁ, শপ, এসএমই ও হোমশেফদের ডিজিটালি রূপান্তরে সহায়তা এবং আমাদের মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে তাদের লাখো গ্রাহকের সাথে যুক্ত করার জন্য আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমি বিশ্বাস করি, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য এ খাতটির অপার সম্ভাবনা রয়েছে।