হায়দারাবাদ, ভারত: হায়দারাবাদের সন্ধ্যা থিয়েটারে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার মামলায় জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন দক্ষিণ ভারতের চলচ্চিত্রের সুপারস্টার অল্লু অর্জুন ও তার আইনজীবী অশোক রেড্ডি। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে জেল থেকে ছাড়া পান ‘পুষ্পা’ খ্যাত এ অভিনেতা। এতে ক্ষুদ্ধ হয়েছেন আল্লুর আইনজীবী অশোক। সংবাদ জুম টিভির।
জেল থেকে ছাড়া পেয়ে অল্লু অর্জুন সংবাদ মাধ্যমে অভিযোগ করেন, পুলিশ অকারণেই তার ব্যক্তিগত পরিসরে ঢুকে পড়েন। বহু অনুরোধ করার পরও অভিনেতাকে সম্মান দেখানো হয়নি।
আল্লুর ভাষায়, থানায় আসার আগে আমি পোশাক পরিবর্তন করতে চাই। পুলিশ দেয়নি। বলেছিলাম, ‘আমার সাথে তাহলে একজন লোক দিতে পারেন। আমি দ্রুত পোশাক পরিবর্তন করে আসব।’
আল্লু আরও বলেন, ‘আইনকে সম্মান করি, তদন্তে সহযোগিতা করব। পুলিশ আমাকে নিয়ে এসেছে, এটা ভুল নয়। কিন্তু, আমার বেডরুমে ঢুকে পড়াটা বাড়াবাড়ি। এটা ঠিক নয়।’
আল্লুর আইনজীবী অশোক বলেন, ‘সন্ধ্যা থিয়েটারে এক নারীর মৃত্যু অভিনেতার কারণেই হয়েছে, এটা বলা যায় না। পাশাপাশি, ওই দিনের ঘটনা মোটেও কারো ইচ্ছাকৃত নয়। তাই, অল্লু অর্জুনকে গ্রেফতার করাটা বাড়াবাড়ি।’
অশোক রেড্ডি আরও বলেন, ‘শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) জামিন পাওয়ার পরও অভিনেতাকে পুরো রাত জেলে রাখার বিষয়টিও বাড়াবাড়ি। এটি ‘অবৈধ আটক’ ছাড়া আর কিছুই নয়।’
হাইকোর্টের আদেশ না মানার জন্য প্রকাশ্যে জেল কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করে সংবাদ মাধ্যমে অশোক রেড্ডি বলেন, ‘সরকার ও বিভাগকে প্রশ্ন করা উচিত যে, তারা কেন অভিযুক্তকে মুক্তি দেয়নি। হাইকোর্টের আদেশটি খুবই সুনির্দিষ্ট। আইন অনুযায়ী, কারাগার কর্তৃপক্ষ আদেশ পেলেই অবিলম্বে অভিযুক্তদের ছেড়ে দেবে। অল্লু অর্জুনের ক্ষেত্রে সেটা হয়নি, এর জবাব দিতে হবে। আমরা আইনি পদক্ষেপ নেব।’
গেল ৪ ডিসেম্বর হায়দারাবাদের সন্ধ্যা থিয়েটারে ‘পুষ্পা টু: দ্য রুল’ চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ারে পদদলিত হয়ে এক নারী ভক্তের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ওই নারীর পরিবার থানায় মামলা করে। সেই মামলার তদন্তে নেমেই শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) পুলিশ গ্রেফতার করে অভিনেতাকে।
ওই দিনই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ায় আদালত অভিনেতার ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের রায় দেন।
তবে, এ রায়ের বিরোধিতা করেন অল্লুর আইনজীবী। অভিনেতার বিরুদ্ধে আনা এফআইআর খারিজের আবেদন করেন তিনি।
হাইকোর্টে এ আবেদন জানানো হলে তেলঙ্গানা হাই কোর্টের বিচারপতি জি শ্রীদেবীর বেঞ্চে ৫০ হাজার টাকার মুচলেকা দিয়ে অন্তর্বর্তী জামিন পান অল্লু। কিন্তু, জামিন পাওয়ার পরও জেলে অভিনেতাকে আটক রাখায় দ্রুতই এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবেন অল্লু অর্জুন ও তার আইনজীবী অশোক রেড্ডি।’