বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

শিরোনাম

জ্যাকসন হাইটসে কাজী ফৌজিয়ার ‘নিউইয়র্কের চিঠি’ গ্রন্থের প্রকশনা উৎসব অনুষ্ঠিত

শনিবার, অক্টোবর ২৬, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক সিটি, যুক্তরাষ্ট্র: মানবাধিকারকর্মী কাজী ফৌজিয়া রচিত ‘নিউইয়র্কের চিঠি’ গ্রন্থের প্রকশনা উৎসব যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসের জুইশ সেন্টারে রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে বইটি নিয়ে আলোচনা করেন সাংবাদিক ও অনুবাদক আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু, অধ্যাপক দীনা দীনা সিদ্দিকী, কবি কাজী জহিরুল ইসলাম, টাইম টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আবু তাহের, নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের সভাপতি মনোয়ারুল ইসলাম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রাক্তন সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, দেশ পত্রিকার সম্পাদক মিজানুর রহমান ও কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট রওশন হক।

অনুষ্ঠানের শুরুতে লেখকের জীবনী পড়ে শোনান জাতিসংঘে কর্মরত মানবসম্পদ বিশেষজ্ঞ ও ঊনবাঙালের সভাপতি মুক্তি জহির। দীপুর সঞ্চালনায় গ্রন্থ থেকে অংশবিশেষ পড়েন আবৃত্তিশিল্পী আহসান হাবীব। অনুষ্ঠান উপলক্ষে ঢাকা থেকে শুভেচ্ছা বাণী পাঠান লেখক ও চিন্তক ফরহাদ মজহার; যেটি পাঠ করেন সঞ্চালক দীপু।

গ্রন্থের বিভিন্ন অংশের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু বিষয় তুলে ধরে কাজী জহিরল ইসলাম বলেন, ‘এ বইয়ের মূলশক্তি হল এতে কোন ধার করা বিষয় নেই, নিজের জীবনের সংগ্রাম ও যুদ্ধের কথা তিনি অকপটে প্রকাশ করেছেন, কাঠামো হিসেবে বেছে নিয়েছেন বন্ধুকে লেখা চিঠির ফর্ম। এটি যে একটি রোমান্টিক গ্রন্থও এ কথাটিও তিনি উল্লেখ করেন।’

অন্য আলোচকরা বলেন, কাজী ফৌজিয়া নিউইয়র্কের চিঠি গ্রন্থে লিখেছেন তার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার কথা। যা পড়ে পাঠকদের সাহসে বুক বাঁধতে শেখাবে। বাঙালিরা হারতে জানে না, কাজী ফৌজিয়ার গ্রন্থ থেকে সেই মর্মবাণী উঠে এসেছে।’

কাজী ফৌজিয়া ১৯৬৮ সালের ৮ ডিসেম্বর গাজীপুর জেলায় জন্ম নেন। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্য কাজী ফৌজিয়া সকলে বড়। ফৌজিয়ার বাবা হারিছ আলী কাজী ছিলেন মওলানা ভাসানীর একনিষ্ঠ অনুসারী। শিশুকাল থেকেই ফৌজিয়া বাবার সান্নিধ্যে থেকে নিজেও ভাসানীর অনুসারী হয়ে ওঠেন। কাজী ফৌজিয়া এক সময় পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। বর্তমানে তিনি দক্ষিণ এশিয়ার ইমিগ্র্যান্টদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন ড্রামের কর্মসূচি পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। মানুষের অধিকার আদায়ে আজন্ম সংগ্রামী মানুষটির জীবন নিয়ে পিএইচডির গবেষণাও হয়েছে।