ডেস্ক রিপোর্ট: ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক বেচে দেয়ার জন্য চীনা কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের চাপের পর এ নিয়ে চীন-মার্কিন দ্বন্দ্ব আরো তীব্র রূপ নিয়েছে। খবর বিবিসির।
বুধবার (১৫ মার্চ) টিকটকের কারণে আঞ্চলিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছে- এমন অভিযোগ তুলে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অ্যাপটি নিষেধাজ্ঞার হুমকি দেয় ওয়াশিংটন। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগের নিয়ন্ত্রিত বিদেশি বিনিয়োগ কমিটি টিকটকে চীনা বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ প্রত্যাহারের পরামর্শ দেয়। অন্যথায়, অ্যাপটিকে যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করার কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানটি। ব্যবহারকারীদের তথ্যের নিরাপত্তাহীনতা ও যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এমন দাবি বলে জানানো হয়।
এর পর বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, টিকটকের কারণে আঞ্চলিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন অভিযোগের সত্যতা মেলেনি। তাই, এমন পদক্ষেপ না নিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
চীনের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, ‘টিকটক ব্যবহারকারীদের তথ্য নিরাপদ রয়েছে। তবে, যুক্তরাষ্ট্র যে আঞ্চলিক নিরাপত্তা হুমকির বিষয়টি বলেছে, তারা সেটা প্রমাণ করতে পারেনি। তাই, আমি বলব প্রমাণ না করে এসব অপপ্রচার চালানো বন্ধ করুন।’
এ দিকে, সাইবার নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মোবাইল ফোনে টিকটক ইন্সটল রাখা কিংবা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশ। এবার এ তালিকায় যুক্ত হতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্যও। নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ থেকে সরকার এ পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
টিকটকের মূল মালিক চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্স। গত কয়েক বছরে এটি পুরো পৃথিবীতে তুমুল জনপ্রিয় এক ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপে পরিণত হয়েছে। তবে গত কিছু দিন ধরে নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগের কথা বলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ অ্যাপটির বিরুদ্ধে বেশ কঠোর অবস্থানে গেছে।