/ 
প্রিন্ট করুন
ঢাকা: ‘ভূমি মন্ত্রণালয় ও এর আওতাভুক্ত দপ্তর/সংস্থায় কর্মরত আমরা সবাই একটা টিম হিসেবে কাজ করে প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পিত ইশতেহারের অংশ স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নে কাজ করব।’ বলেছেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকালে সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে পরিচিতি ও মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের বিষয়ে অবহিতকরণ সভার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে মিট-দ্যা-প্রেসে তিনি এ কথা বলেন। ভূমি সচিব মো. খলিলুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ভূমি আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান একেএম শামিমুল হক, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সবুর মন্ডল, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সব অতিরিক্ত সচিবসহ নানা পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সভায় উপস্থিত ছলেন।
এর পূর্বে, বক্তব্যের শুরুতেই নারায়ন চন্দ্র চন্দ স্রষ্টার কাছে ধন্যবাদ জানান ও শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় মুক্তির ঐতিহাসিক সংগ্রামের সব শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। একইসঙ্গে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৫ আগস্টের সব শহিদ, পঁচাত্তর সালের ৩ নভেম্বর কারাগারের অভ্যন্তরে নিহত জাতীয় চার নেতা ও দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আত্মদানকারী সবার প্রতিও শ্রদ্ধা জানান নয়া ভূমি মন্ত্রী।
নারায়ন চন্দ্র চন্দ মিট-দ্যা-প্রেসে আরো বলেন, ‘স্মার্ট ভূমি সেবা বাস্তবায়নে আমরা সব অংশীজনের সহায়তা চাই। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভূমির সঙ্গে জড়িত। এ জন্য টেকসই ও স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে নাগরিক অংশগ্রহণের বিকল্প নেই।’
ভূমি মন্ত্রণালয়কে একটি ‘চ্যালেঞ্জিং’ মন্ত্রণালয় হিসেবে বর্ণনা করে নয়া ভূমি মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পরিকল্পনাগুলো পর্যালোচনা করব ও কিভাবে এগিয়ে গেলে ভূমির ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনাগুলো দ্রুত টেকসইভাবে বাস্তবায়ন করা যাবে; তা পরীক্ষা করে সেভাবেই কাজ করব।’
ভূমি সেবা ডিজিটাইজেশন বাস্তবায়ন ও ভূমি বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ নয়া আইন প্রণয়নে সাবেক ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বের সাধুবাদ জানিয়ে নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেন, ‘তিনি অনেক উদ্যোগী ছিলেন ও অনেকটা ‘রিলিজিয়াসলি’ (ধারাবাহিক ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে) ভূমি সেবা ডিজিটাইজেশনের কাজ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। তিনি যে পর্যন্ত অগ্রগতি রেখে গিয়েছেন, আমরা তা আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’
সাংবাদিকরা জাতির বিবেক ও সমাজের দর্পণ উল্লেখ করে ভূমি মন্ত্রী বলেন, ‘কোথাও অনিয়ম হলে তা আপনারা তুলে ধরবেন, ভাল কাজ হলেও তাও তুলে ধরবেন। আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই, এতে আমাদের কাজের গতি আরো বাড়বে।’
ভূমি অফিসে হয়রানি প্রসঙ্গে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে ভূমি মন্ত্রী বলেন, ‘যে কোন ধরনের নাগরিক হয়রানির বিরুদ্ধে আমরা শক্ত অবস্থানে থাকব। এছাড়া, আমরা ডিজিটাইজেশন পরিকল্পনা এমনভাবে করছি, যেখানে সিস্টেমই হয়রানির সুযোগ না দেয়।’
দুর্নীতি সংশ্লিষ্ট আরেকটি প্রশ্নের জবাবে ভূমি মন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিজে পরিচ্ছন্নভাবে কাজ করব। আমি আশা করি, ভূমি মন্ত্রণালয় ও এর আওতাভুক্ত সব দপ্তর/সংস্থায় কর্মরত আমার সহকর্মী সকলে পরিচ্ছন্নভাবে কাজ করবেন – এর ব্যত্যয় হলে প্রচলিত আইনে বিচারের আওতায় আসতে হবে।’
