রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

ডেঙ্গুর প্রতিরোধে বছরজুড়ে কর্মসূচি নেয়া হচ্ছে

বুধবার, জানুয়ারী ১৭, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ বিষয়ক জাতীয় কমিটির ২০২৪ সালের প্রথম সভা বুধবার (১৭ জানুয়ারি) স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এতে সভাপতিত্ব করেন। সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিমসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভার শুরুতে মন্ত্রী ডেংগু মশা প্রতিরোধে এডিস মশার প্রজননস্থলগুলো চিহ্নিত করে লার্ভা ধ্বংস করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। এ সময় তিনি বসত বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা যাতে জন্মাতে না পারে সেজন্য ফুলের টব, টায়ার, ফ্রিজের নীচে কিংবা বাসার ভিতর জমা পানি প্রতি তিন দিনে এক বার পরিস্কার করার উপর জোর দেন। এছাড়া, সরকারি বিভিন্ন দপ্তর, হাসপাতাল ও এর মেডিকেল বর্জ্য এবং বিভিন্ন থানায় জব্দকৃত যানবাহনে যাতে এডিস মশা জন্মাতে না পারে, সেজন্য বছরের প্রথম থেকেই সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষকে সচেতন হওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

ব্যাংক ও আবাসিক এলাকাগুলোকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উপর গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নিজেরা সচেতন হলে ডেঙ্গু ও এডিস মশা প্রতিরোধ কার্যকর করা সম্ভব।’

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সভায় এ বছর গোটা দেশজুড়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীন সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদকে কার্যকর ভূমিকা রাখার নির্দেশনা দেন। তিনি এ সময় পুরো দেশে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজারের অধিক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে ডেঙ্গু সচেতনতা বৃদ্ধিতে সক্রিয় হওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ নিতে বলেন।

মন্ত্রী জানান, গ্রামের অর্থনীতি শক্তিশালী হওয়ায় গ্রামেও নগরানের ছোঁয়া লেগেছে। ফলে, গ্রামেও স্বচ্ছ জমাটবদ্ধ পানি থেকে এডিস মশার লার্ভা উৎপন্ন হতে পারে। যেহেতু গেল বছর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে, তাই আশঙ্কার কথা হচ্ছে এ বছর তা আরো ছড়িয়ে পড়তে পারে, যদি আমরা এডিস মশার প্রজনন স্থল ধ্বংস করতে না পারি।

তাজুল ইসলাম সভায় এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসের আমদানিকৃত কীটনাশকের গুণগতমান পরীক্ষা নিশ্চিত করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

তিনি বলেন, ‘গেল বার মশার কীটনাশক স্প্রে নিয়ে কিছু বিতর্ক তৈরি হওয়ায় এ বছর পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ওষুধ কার্যকর হয়।’

মন্ত্রী এ সময় এ বছরের ডেঙ্গুর গবেষণা ও ডাটা সংগ্রহ এবং প্রয়োজনীয় ফলাফল সংরক্ষণের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্দেশনা দেন। এ ক্ষেত্রে, মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয় যাতে ঠিক থাকে, সে ব্যাপারে লক্ষ্য রাখার জন্য বলেন তিনি।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ডেঙ্গু সচেতনতা বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্য ও এডিসসহ বিভিন্ন ধরনের মশার ব্যাপারে শিক্ষা কারিকুলামে যোগ করা যায় কিনা, সে ব্যাপারটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বিবেচনার জন্য বলেন।