মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বসছে উচ্চ ক্ষমতার সিসিটিভি

রবিবার, ফেব্রুয়ারী ১১, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

কুমিল্লা: সড়কে সব ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে ১৫২ কোটি টাকা খরচে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ২৫০ কিলোমিটার জুড়ে সিসিটিভি ক্যামেরার স্থাপনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এটি চালু হলে সুফল মিলবে বলে আশা যাত্রী ও চালকদের।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক আধুনিক প্রযুক্তির আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। এ ক্যামেরার আওতায় আসলে ভাল পুলিশিংয়ের পাশাপাশি মহাসড়কও নিরাপদ হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এসব ক্যামেরা যে কোন ধরনের অপরাধ শনাক্ত করতে ও কন্ট্রোলরুমে তাৎক্ষণিক সতর্ক সংকেত পাঠাতে সক্ষম হবে। দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত পৌঁছে যাবে অ্যাম্বুলেন্স। বিনামূল্যে পৌঁছে দেবে নিকটবর্তী হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য থাকবে দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী ও ট্রমা সেন্টার। এ পদ্ধতিতে উন্নত দেশগুলোয় পূর্ব থেকেই এ ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার প্রচলিত থাকলেও দেশে এবারই প্রথম এ পদ্ধতি অনুসরণ হতে যাচ্ছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, ‘উদ্যোগটির মাধ্যমে এক দিকে যেমন সড়কে দুর্ঘটনা কমবে, তেমনি বাড়বে যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ২৫০ কিলোমিটার এলাকায় ৪৯০টি পোলের মাধ্যমে এক হাজার ৪২৭টি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। এরমধ্যে এক হাজারও বেশি ক্যামেরা বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। এগুলো নিয়ন্ত্রণে মেঘনাঘাট, দাউদকান্দি, হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়ন ও সিটিগেট এলাকায় স্থাপন হয়েছে মনিটরিং সেন্টারও। তবে, মূল কমান্ড সেন্টার থাকবে হাইওয়ে পুলিশ সদর দফতরে। এডিবির অর্থায়নে ১৫২ কোটি ৫৬ লাখ টাকার এ প্রকল্পের কাজের প্রায় ৮০ শতাংশ শেষ।

মহাসড়কে চলাচল করা গাড়ি ও যাত্রীদের নিরাপত্তা ছাড়াও দুর্ঘটনা ও অপরাধ কমাতে এসব ক্যামেরা সহায়ক হবে বলে আশা সবার।

ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে নিয়মিত চলাচলকারী যাত্রী কোরবান আলী, সাজ্জাদ চৌধুরী ও চালক মমতাজ উদ্দিন, সোহেল রানা বলেন, ‘ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের প্রায়ই ছিনতাই ও নাশকতার মত ঘটনা ঘটে। এসব ক্যামেরা লাগানোর কারণে অপরাধ কমবে। সিসি ক্যামেরা থাকলে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান সহজ হবে। এছাড়া চালকরাও সতর্ক হয়ে গাড়ি চালাবেন বলে মনে হয়। এতে করে যাত্রী ও চালকদের জানমালের নিরাপত্তা যেমন বাড়বে, তেমন হাইওয়ে পুলিশের সক্ষমতাও বাড়বে। খুবই ভাল উদ্যোগ এটি।’

কুমিল্লা হাইওয়ে রিজিয়নের পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বলেন, ‘মহাসড়কে দুর্ঘটনার কারণ, পালিয়ে বেড়ানো যানবাহনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ ও নির্দিষ্ট গতিসীমা অতিক্রম করা যানবাহনের নামে বিশেষ এ ক্যামেরায় ভিডিও মামলা দেয়ার সুবিধা রয়েছে।’

কুমিল্লা বিআরটিএর সহকারী পরিচালক আবদুল মান্নান বলেন, ‘এসব ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা থেকে সুফল পাওয়া শুরু হলে চলাচল করা গাড়ি ও যাত্রীদের নিরাপত্তা ছাড়াও দুর্ঘটনা ও অপরাধ দমন সম্ভব হবে।’

প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, সিসি ক্যামেরাগুলো চীনের হুয়াং প্রতিষ্ঠানের তৈরি। ২০১৮ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া এ প্রকল্পের কাজ চলতি বছরের জুনে শেষ হবে।