রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

তথ্য ও প্রযুক্তি/মোবাইল ইন্টারনেট চালুর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত রোববার

শনিবার, জুলাই ২৭, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: মোবাইল ইন্টারনেট ফোরজি চালুর জন্য রোববার (২৮ জুলাই) মোবাইল অপারেটরদের সাথে বৈঠক করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

শনিবার (২৭ জুলাই) আগারগাঁওয়ে ডাকভবনে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৪তম জন্মদিন উপলক্ষে পুরো দেশে এক লাখ গাছের চারা রোপণে ‘শান্তির জন্য বৃক্ষ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রোববার (২৮ জুলাই) মোবাইল ফোন অপারেটরদের সাথে বৈঠক করে মোবাইল ইন্টারনেট চালুর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

কবে ইন্টারনেট চালু হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শিগগরিই মোবাইল ইন্টারনেট খুলে দেয়া হবে। রোববার (২৮ জুলাই) সকাল নয়টায় আমরা এমটবের সাথে বৈঠক করব। বৈঠকে সন্তুষ্ট হলে রোববার-সোমবার মোবাইলের ফোরজি নেটওয়ার্ক খুলে দেয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ইন্টারনেট শাটডাউন করিনি। ইন্টারনেট বন্ধ হয়েছিল তিনটি ডেটা সেন্টার ও শত শত কিলোমিটার তার পুড়িয়ে দেয়ার জন্য। এ জন্য শুধু টেলিকম খাতে ৫০০ কোটি টাকা ও সব মিলিয়ে শত শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।’

পলক বলেন, ‘ঢাক বিভাগের ১৭টি জায়গায় হামলা হয়েছে। মহাখালীতে তিনটি ডেটা সেন্টারে ১৮টি আইআইজির সিস্টেম রয়েছে। সেখানে থাকা আইএসপির ৭০ শতাংশ সার্ভার থাকে। তাই, ইন্টারনেট একা একাই বন্ধ হয়েছে। আমরা বন্ধ করিনি।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পরিকল্পিত নাশকতা ছিল। ১৮ জুলাইয়ের মোবাইল অপারেটরদের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকার উত্তরা, রামপুরা, মোহাম্মাদপুর, যাত্রাবাড়ী ও গাজীপুরে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ নতুন সিম কার্ড ব্যবহার করা হয়েছে।’

বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘টেলিযোগাযোগ খাতে আঘাত আসায় এখনো কিছু ক্যাশ সার্ভার মেরামতের কাজ চলছে। হয়তো দুই চার দিনের মধ্যে টেলিযোগাযোগ পুরোপুরি পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসবে। দেশে থাকা চার হাজারের ওপর ক্যাশ সার্ভার ঠিক হতে সময় লাগবে। গুগলের সব ক্যাশ সার্ভার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে।’

আইএসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, ‘ইন্টারনেট এখন আমাদের মৌলিক অধিকার। কিন্তু, দুর্বৃত্তদের হামলায় মহাখালীতে সার্ভার ও তার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন ছিল। এ সেবা এখন ধীরে ধীরে চালু হচ্ছে। শিগগিরই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসবে। ৯০ শতাংশ সমস্যা সমাধান (রিস্টোর) করা হয়েছে। বাকিটা নির্ভর করছে ট্রান্সমিশনের ওপর।’

ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তরুণ কান্তি সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি সচিব মো. সামসুল আরেফিন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মুশফিকুর রহমান ও বিটিআরসির চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ।