ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরকে কেন্দ্র করে চীনের সাথে তুমুল উত্তেজনা চলছে যুক্তরাষ্ট্রের। এরই মধ্যে ন্যান্সি পেলোসি চলতি সপ্তাহে আরেকটি ‘হটস্পট’ আর্মেনিয়া সফরে যাচ্ছেন। আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকল পাশিনিয়ানের প্রতি সমর্থন জানাতেই পেলোসির এ সফর। খবর পলিটিকো ও এএফপির।
আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষে দুই শতাধিক নিহত হওয়ার পরপরই পেলোসির এ সফরের খবর সামনে এল।
পেলোসি বর্তমানে জার্মানিতে রয়েছেন। সেখানে তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘ইউক্রেনের বীরত্বপূর্ণ লড়াই’ এর সমর্থনে জি৭ স্পিকারস সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন। ওই সম্মেলনের পরই তিনি আর্মেনিয়ার রাজধানী ইয়েরেভানে যাবেন।
এ দিকে, নাগোরনো-কারাবাখ সীমান্তে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান সেনাদের মধ্যে সংঘাতে চলতি সপ্তাহে কমপক্ষে ১৩৬ জন নিহত হয়েছে বলে শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দাবি করেছে আর্মেনিয়া। এ নিয়ে দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাতে সেখানে দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) শুরু হওয়া সংঘর্ষের উসকানি দেয়ার জন্য উভয় পক্ষই একে অপরকে অভিযুক্ত করেছে, যা মঙ্গলবার শুরু হয়েছিল। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতার মাধ্যমে এ সংঘাত শেষ হয়।
আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে বিরোধের কেন্দ্রে আছে বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমান্ত অনুযায়ী এটি আজারবাইজানের অংশ, তবে সেখানে থাকে মূলত জাতিগত আর্মেনিয়ানরা।
তবে এ সাংস্কৃতিক বিভেদ কেবল রাজনীতিতে সীমাবদ্ধ নেই, এর পাশাপাশি ধর্মীয় বিভেদও দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি করছে। আর্মেনিয়া মূলত খ্রিস্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। অন্য দিকে, আজারবাইজান মূলত মুসলিম।
দুইটি দেশই সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল। নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে ১৯৮০ ও ১৯৯০ এর দশকে বড় আকারে যুদ্ধ হয়েছে। সর্বশেষ ২০২০ সালেও ছয় সপ্তাহ ধরে এক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল ককেশাশ অঞ্চলের প্রতিবেশী দেশ দুইটি।