শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

তামিলনাড়ু জয় করল তানভীর পিয়ালের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘রিটার্ন’

শুক্রবার, জুন ১৪, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: ভারতের তামিলনাড়ুতে দুইটা চলচ্চিত্র উৎসবে পৃথক পুরস্কার জিতেছে তানভীর পিয়ালের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘রিটার্ন’। রোহিপ ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভালে বেস্ট এশিয়ান শর্ট ফিল্ম হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে এবং বেস্ট ডেবু শর্ট ফিল্ম হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে সিত্তান্নাভাসাল ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভালে।

ইকরাম ফরিদ চৌধুরীর গল্প অবলম্বনে তানভীর পিয়াল নির্মিত এ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন তৌকির মাহমুদ ও সায়মন মারমা। মাত্র দুইটা চরিত্রের সাহায্যে গড়ে উঠেছে সাত মিনিটের এ গল্প। এর চিত্রনাট্যও তানভীর পিয়ালের লেখা।

সিনেমাটোগ্রাফার শারাফাত আলী শওকতের ক্যামেরা পরিচালনা ও সম্পাদনায় চলচ্চিত্রটির শরীরনির্মিত। সাউন্ড ডিজাইন করেছেন লোকেশন সাউন্ড রেকর্ডিস্ট নাহিদ মাসুদ ও শারমিন দোজা। চলচ্চিত্রের স্কোরটি তৈরি করেছেন তৌকির মাহমুদ।

‘রিটার্ন’ এক বিষণ্ন ও জীবন থেকে পালাতে চাওয়া তরুণের গল্প। চলচ্চিত্রের শুরুতে তরুণটির মোবাইল ফোনে বাড়িওয়ালার বার বার ফোনকল ও ইতস্তত ছড়িয়ে থাকা সরকারি চাকরির প্রস্তুতির বই-পত্র ছড়িয়ে থাকতে দেখা যায়- যা থেকে সহজেই অনুমেয় বেকারত্ব ও অর্থাভাবের কষাঘাতে জর্জরিত এক তরুণেরই গল্প দেখাতে চলেছেন নির্মাতা। ফ্যানে গামছা ঝুলিয়ে আত্মহত্যায় নিজেকে সঁপে দেওয়ার ঠিক পূর্ব মুহূর্তেই দরজায় করাঘাত গল্পের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।

চিত্রশিল্পী ভ্যান গঘের অনুপ্রেরণায় সিনেগঘ নামের ইউটিউব চ্যানেলে সম্প্রতি এ চলচ্চিত্রটি মুক্তি দেয়া হয়, যা ইতিমধ্যে আড়াই হাজারেরও বেশি মানুষ দেখেছেন। এছাড়াও, বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এটি দেখানো হচ্ছে। ভারতের তামিলনাড়ুতে রোহিপ ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভালে বেস্ট এশিয়ান শর্ট ফিল্ম হিসেবে এবং সিত্তান্নাভাসাল ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভালে বেস্ট ডেবু শর্ট ফিল্ম হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে এটি। এছাড়া রোমানিয়ার ইস্টার্ন ইউরোপ ফিল্ম ফেস্টিভাল, রাশিয়ার শর্ট শট ফেস্ট ও কানাডার কিনো ফিল্ম ফেস্টিভালে এটি প্রদর্শন ও পুরস্কারের জন্য অফিসিয়াল সিলেকশন পেয়েছে।

তানভীর পিয়াল জানান, স্বীকৃতি সব সময়ই কাজের অনুপ্রেরণাকে বাড়িয়ে দেয়। বাংলাদেশে চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রেক্ষাপটে চট্টগ্রামে বসে এ ধরনের প্রচেষ্টা সব সময়ই দুরূহ। নানা প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে চলচ্চিত্র তৈরি করার পর সেই চলচ্চিত্র আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পাওয়া অবশ্যই বিশেষ কিছু। সামনে আরো বেশ কিছু ফেস্টিভালে এটি দেখানো হবে। এসব উৎসবেও আমাদের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের এক নয়া পরিচয় বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরবে বলে আশা করছি।