আমরা তো একই বাগানের বাসিন্দা,
আমাদের ঘুম ভাঙ্গে সুরের ঝংকারে।
বংশী প্রেমিক মোরা ত্রয়ী ভাই-ভাই
মোদের ভাল লাগা এক, ভালবাসা এক,
মোদের চাওয়া এক, আর পাওয়া এক।
আমরা চিনি, তারই চিরচেনা আসল সুর,
সুরের অস্তিত্বে ও সুরের ধ্যানে মগ্ন থাকা
ভিতরে ভিতরে সুরের জগতে ডুবে থাকা,
এ যেন ভেতরে-বাহিরে একই চিরায়ত রূপ।
সৎসঙ্গ বিহার সাক্ষী,
সাক্ষী তার রাস্তার দুই পাশের জবা-বেলি
সাক্ষী বাগানের আম-জাম-কাঁঠাল-কূল।
সাক্ষী সৎসঙ্গ বিহারের উত্তরের পুকুর।
খুঁজি মনে প্রাণে আসল সুরের আরশী
বিহারের অলিগলির সরুপথ চেনে সবই।
আমাদের বাঁশির সুর ও হাতের ছোঁয়া
লেগে আছে বিহারের আনাচে-কানাচে,
মাটির গন্ধে, পাখির কন্ঠে, ফুলের সুবাসে।
আশির্বাদ কর, মোরা ত্রয়ী ভাই-ভাই,
বংশী প্রেমিক মোরা হতে চাই,
মোরা হতে চাই সুরের পূত পূজারী।
ধন নয়, কড়ি নয়, চাই শুধু পরশ।
স্নেহ-মমতা পেলেই হয়ে যাব সরস।
কবি: বংশীবাদক, সংস্কৃতিকর্মী, চট্টগ্রাম