শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

দক্ষিণ কোরিয়ায় মহড়ায় যোগ দেবে মার্কিন বি-১বি বোমারু বিমান

শনিবার, নভেম্বর ৫, ২০২২

প্রিন্ট করুন

সিউল, দক্ষিণ কোরিয়া: একটি মার্কিন ইউএস বি-১বি কৌশলগত বোমারু বিমান শনিবার (৫ নভেম্বর) দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে চলমান যৌথ বিমান মহড়ায় অংশ নেবে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পর শক্তি প্রদর্শনে এ মহড়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে।’ খবর এএফপির।

বুধবার ও বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার উৎক্ষেপণের মধ্যে একটি আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ১৯৫৩ সালে কোরিয়ান যুদ্ধের সমাপ্তির পর প্রথম বারের মত দক্ষিণ কোরিয়ার আঞ্চলিক জলসীমার কাছে আছড়ে পড়ে।

যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া সতর্ক করেছে যে, উত্তর কোরিয়ার সিরিজ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ একটি পারমাণবিক পরীক্ষায় পরিণত হতে পারে ও এর প্রতিক্রিয়া হিসাবে শনিবার (৫ নভেম্বর) পর্যন্ত তাদের সর্ববৃহৎ বিমান বাহিনীর মহড়ার শক্তি বাড়িয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘মার্কিন বিমান বাহিনীর বি-১বি কৌশলগত বোমারু বিমান অনুশীলনের শেষ দিনে অংশ নেবে। যাকে ভিজিল্যান্ট স্টর্ম বলা হয়, যা মূলত এ সপ্তাহে সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল।’

বিশদ বিবরণ না দিয়ে কর্মকর্তা বলেন, ‘বি-১বি বিকালের প্রশিক্ষণে অংশ নেয়ার জন্য নির্ধারিত আছে।’

উত্তর কোরিয়ার ১৮০টি যুদ্ধবিমানের মহড়ার ঘোষণার এক দিন পরে এর জবাবে এ শক্তি প্রদর্শনের পদক্ষেপ নেয়া হয়।

যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান মহড়ার প্রতিবাদে উত্তর কোরিয়া তাদের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ বাড়িয়েছে। এ ধরনের মহড়া উত্তর কোরিয়াকে দীর্ঘ দিন ধরে ক্ষুব্ধ করেছে, যা তাদের ওপর আক্রমণের মহড়া হিসেবে দেখছে।

উত্তর কোরিয়া ভিজিল্যান্ট স্টর্ম মহড়াকে ‘উত্তর কোরিয়াকে লক্ষ্য করে একটি আক্রমণাত্মক ও উসকানিমূলক সামরিক মহড়া’ বলে অভিহিত করেছে এবং বলেছে যে, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া যদি এ মহড়া চালিয়ে যায়, তবে ‘ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর মূল্য দিতে হবে’।

উত্তর কোরিয়া এ মহড়ার বিষয়ে বিশেষভাবে সংবেদনশীল বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘কারণ তার বিমান বাহিনী তার সামরিক বাহিনীতে সবচেয়ে দুর্বল লিঙ্কগুলোর মধ্যে একটি উচ্চ প্রযুক্তির জেট ও সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত পাইলটের অভাব রয়েছে দেশটির।’

উত্তর কোরিয়া অতীতে মার্কিন কৌশলগত অস্ত্র যেমন বি-১বি ও বিমানবাহী রণতরী স্ট্রাইক গ্রুপের মোতায়েনে বিশেষভাবে ক্ষুব্ধ হয়েছে। কোরীয় উপদ্বীপে তীব্র উত্তেজনার সময়ে এগুলো মোতায়েন করা হচ্ছে। যদিও বি-১বি যুদ্ধবিমান পারমাণবিক অস্ত্র বহন করে না, এটিকে মার্কিন বিমান বাহিনী ‘আমেরিকার দূরপাল্লার বোমারু বাহিনীর মেরুদন্ড’ হিসাবে বর্ণনা করেছে যা বিশ্বের যে কোন জায়গায় আঘাত হানতে সক্ষম।

উত্তর কোরিয়াকে ‘সক্রিয়’ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র শুক্রবার (৪ নভেম্বর) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে চীন ও রাশিয়াকে আক্রমণ করেছে।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে মহড়ার সমালোচনাকে উত্তর কোরিয়ার ‘অপপ্রচার’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন ও বলেছেন, তারা অন্য দেশের জন্য কোন হুমকি সৃষ্টি করে নি।’