সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

দশম বাংলাদেশি আমেরিকান অ্যাডভোকেসি ডে সফল হয়েছে বাংলাদেশিদের উপস্থিতির কারণে

শুক্রবার, জুন ১৪, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: নানা দাবিতে নিউইয়র্কের আলবানিতে অনুষ্ঠিত দশম বাংলাদেশি আমেরিকান অ্যাডভোকেসি ডে বাংলাদেশি আমেরিকানদের অংশগ্রহণ ও সহযোগিতার কারণে সফল হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। বুধবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের ইটজি রেষ্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে করে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নিউইয়র্ক রাজ্যব্যাপী ঈদের ছুটি, ইসরাইলের গণহত্যায় ফান্ড বন্ধ করাসহ বিভিন্ন দাবিতে গেল ২১ মে আলবানিতে দশম বাংলাদেশি আমেরিকান অ্যাডভোকেসি ডে পালন করা হয়। নিউইয়র্ক রাজ্যে বসবাসরত দেড় মিলিয়ন মুসলিম ও অন্যান্য মাইনরিটি জনসমাজের পক্ষে বাংলাদেশী আমেরিকান এডভোকেসী গ্রুপ (বাগ), নিউইয়র্ক মুসলিম একশন নেটওয়ার্ক (এনওয়াইম্যান) এবং দি কাউন্সিল অন আমেরিকান রিলেসন্সের (কেয়ার এনওয়াই) যৌথ উদ্যোগে দাবি-দাওয়া নিয়ে দিবসটি পালন করে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, প্রতি বছরের মত এবারেও নিউইয়র্ক স্টেটে বসবাসরত দেড় মিলিয়ন মুসলমানের পক্ষে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া ও সুনির্দিষ্ট কিছু বিল নিয়ে নিউইয়র্ক স্টেট ক্যাপিটাল আলবেনীর উদ্দেশ্যে জ্যাকসন হাইটস, জ্যামাইকা ও ব্রুকস থেকে প্রায় দেড় শতাধিক কমিউনিটির নানা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, পেশাজীবী, স্কুল কলেজ স্টুডেন্টদের নিয়ে বাস যোগে ও ব্যক্তিগত গাড়ি বহরে লোকজন যোগ দেন।

সংবাদ সম্মেলনে বাগের সভাপতি জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আমাদের ৫৫ জন জনপ্রতিনিধির সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল। আমরা দেখা করেছি অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস, অ্যাসেম্বলিতে মেজরটি ও মাইনেরটি লিডার ও গর্ভনরের সাথে। আমাদের অ্যাসেম্বলিতে কুরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে অ্যাসেম্বলি শুরু হয়েছে। আমাদের ঈমাম মুফতি আনসারুল করিম চার মিনিট কুরআন তেলওয়াত করেন। এ সময় তিনি বাইবেল ও তাওরাত থেকে রেফারেন্স টেনে সূরা আসরের বাংলা অনুবাদ করেছেন। উপস্থিত সকলে অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে এ তেলওয়াত অনুধাবন করেছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘সেই দিন নিউইয়র্ক সিটি থেকে ১২৫ জন, আলবেনীর আশেপাশে মিলিয়ে ১৫০ জনের মত উপস্থিত ছিলাম। আমাদের যারা সহযোগিতা করেছেন, সকলকে ধন্যবাদ জানাই৷ বিশেষ করে স্পন্সরকারী তিনজন সিনেটর ও দুইজন অ্যাসেম্বলি মেম্বার সিনেটর রবার্ট জ্যাকসন, সিনেটর জেসিকা রামোস এবং জেসিকা স্কারটেলা, অ্যাসেম্বলি মেম্বার জোহরান মামদানী ও চার্লস ড ফলস।’

জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আমরা আমাদের দাবিগুলো নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি, সকলে সহযোগিতা করছেন। আমাদের এ আয়োজনে সিনেটররা উপস্থিত হওয়ার মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে একটা সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। আমাদের আঞ্চলিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো পেছন থেকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। আমাদের দাবিগুলো আদায়ের কৃতিত্ব একা এ সংগঠনের না, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার অংশ।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সব দাবি ততক্ষণই আদায় হবে না, যতক্ষণ না আরো বেশি লোকজন অংশগ্রহণ না করবে।’

জয়নাল আবেদীন আরো বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কর্মকান্ডের সঙ্গে যখন আমাদের যাচ্ছে না, তখন আমরা ব্ল্যাংক ভোট প্রচারণা চালিয়েছি। আমরা এটাতে অনেকটা সফলও হয়েছি। আমাদের পক্ষ থেকে এ মেসেজটা কমিউনিটিকে দিতে চাই, আমরা যদি ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করি, তবে সিনেটে আমাদের প্রতিনিধি আমরাই বাড়াতে পারব।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশী আমেরিকান এডভোকেসি গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক শাহানা মাসুম, নিউইয়র্ক মুসলিম অ্যাকশন নেটওয়ার্কের সভাপতি মীর মাসুম আলী, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) তোফায়েল, সংগঠনের বোর্ড অব ডাইরেক্টর ও অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আব্দুস সাত্তার, ট্রেজারার আব্দুর রহিম, পরিচালক আশিক মাহমুদ, মাহতাব খান, মেজবাহ, দিলরুবা চৌধুরী।