/ 
প্রিন্ট করুন
ঢাকা: দুই বাংলার চলচ্চিত্রের কোলাবোরেশন নিয়ে আলফা আই, চরকি ও ভারতীয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসভিএফ ফিল্মস এবার এক হয়েছে। এই তিন প্রতিষ্ঠানের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হতে যাচ্ছে বড় পর্দার দুইটি চলচ্চিত্র। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সেই চলচ্চিত্রের মধ্যে একটির ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে শনিবার (৯ ডিসেম্বর) বিকালে ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
খানিকটা দম নিয়ে নির্মাণে ফিরছেন নির্মাতা রেদওয়ান রনি। ‘দম’ শিরোনামে সেই চলচ্চিত্রে মূল ভূমিকায় দেখা যাবে চঞ্চল চৌধুরীকে।’
বেশ খানিকটা বিরতির পর নির্মাণে ফেরা নিয়ে পরিচালক রেদওয়ান রনি বলেন, ‘সত্য ঘটনা আমাকে সব সময়ই অনুপ্রাণিত করে। বহু বছর পর চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষুধা মেটানোর জন্য এই গল্পটাই আমাকে তাড়িত করছিল। সাধারণ মানুষের ভয়াবহ মানসিক শক্তি তাকে যে কোন ভয়ংকর বিপদ থেকে বাঁচিয়ে তুলতে পারে নিমিষেই। ‘দম’ চলচ্চিত্রে এই গল্পটাই বলার চেষ্টা করছি।’
পরিচালক রেদওয়ান রনির সাথে চঞ্চল চৌধুরীর সম্পর্কটা প্রায় ২০ বছরের।
চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘রনির সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্কটা বহু দিনের। সে এক সময় নিয়মিত নির্মাণ করেছে। কিছু দিন নিজে নির্মাণ না করলেও নির্মাণ প্রক্রিয়ার মধ্যেই ছিল। এবারের চলচ্চিত্রের গল্প যখন রনি আমাকে শুনিয়েছে, তখন আমি হতবাক হয়েছি। অসাধারণ একটা গল্প। আমার চরিত্রটা বেশ চ্যালেঞ্জের। সেই সাথে অনেক আয়োজন ও বিগ ক্যানভাসের চলচ্চিত্র ‘দম’।’
চঞ্চল আরো বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বেশি ভাল লাগছে একইসাথে চরকি, এসভিএফ ও আলফার মত বড় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আমাদের এই চলচ্চিত্রের সাথে আছে। এই চলচ্চিত্রের দুই বাংলা মিলিয়ে নতুন কোন দিগন্তের শুরু করবে।’
আলফা-আই স্টুডিওজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার শাকিল বলেন, ‘আলফা-আই স্টুডিওস সব সময় বাংলাদেশের বিনোদন জগতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। এটি একটি অগ্রগামী চিন্তার প্রোডাকশন হাউস। আমরা আগেই বুঝতে পেরেছিলাম বাঙালি দর্শক ভাল মানের কনটেন্ট দেখতে চায়, আমরা প্রতি বারই সেটা দেয়ার চেষ্টা করেছি। এবার বাংলা চলচ্চিত্রের বাজারকে উন্নত করতে ও বিশ্বব্যাপী দর্শকের কাছে পৌঁছাতে আলফা, এসভিএফ এবং চরকি এক হয়েছি।’
২৮ বছর ধরে যারা একাই বদল করে চলেছে বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাস! রেইনকোট, চোখের বালি, অটোগ্রাফ, ২২শে শ্রাবণ’ এর মত অসংখ্য চলচ্চিত্র দিয়ে যারা সমৃদ্ধ করেছে বাংলা চলচ্চিত্রের ভান্ডার; বলছি এসভিএফের কথা।
এসভিএফের ডিরেক্টর ও কো-ফাউন্ডার মহেন্দ্র সোনি বলেন, ‘চলচ্চিত্র নির্মাণে উদ্যোগী হয়ে বাংলাদেশের বিনোদন শিল্পের সাথে আমাদের সম্পর্ককে আরো গভীর করার জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচ্ছে এসভিএফ। আমরা শুধু চলচ্চিত্র নির্মাণ করছি না; বাংলা চলচ্চিত্রকে উদযাপন করে আমরা একটি সম্প্রদায়, একটি সংস্কৃতিকে লালন করছি। আমাদের লক্ষ্য বাংলা ভাষার চলচ্চিত্রকে আন্তর্জাতিক মানে তৈরি করে পৃথিবীর প্রতিটি কোণায় পৌঁছে দেয়া।’
চরকির ইনভেস্টর ও স্ট্র্যাটেজি প্রেসিডেন্ট যারেফ হোসেন বলেন, ‘শুরু থেকেই চরকির লক্ষ্য ছিল গোটা পৃথিবীর বাংলা ভাষাভাষীদের কাছে মানসম্পন্ন কনটেন্ট পৌঁছে দেয়া। এবার চরকি ও আলফা আই এবং এসভিএফ এক সাথে সেই মিশনকে এগিয়ে নেয়ার জন্য এক হয়েছে। আমাদের বিনোদন শিল্পের কাজকে পুরো পৃথিবীর মানুষের কাছে বড় পরিসরে নিয়ে যাওয়ার এটি একটা বড় সুযোগ ও উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হতে চলেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা, পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, আদনান আল রাজীব, মাসুমা নাবিলা, পরিচালক সৈয়দ আহমেদ শাওকী।
