ঢাকা: ‘বিআইসিএম রিসার্চ সেমিনার-১৫’ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের (বিআইসিএম) মাল্টিপারপাস হলে মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে ‘সার্টিফিকেট অফ করপোরেট গর্ভনেন্স কম্প্লায়েন্স, টাইপ অফ সার্টিফাইয়ার্স অ্যান্ড মার্কেট-বেইজড পারফর্মেন্স: এভিডেন্স ফ্রম এ ইউনিক রেগুলেটরি সেটিং’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব নর্থ আমব্রিয়ার আব্দুস সোবহান।
বিআইসিএমের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট মাহমুদা আক্তারের সভাপতিত্বে সেমিনারের আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মেলিটা মেহজাবিন এবং ঢাবির অ্যাকাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মুশফিকুর রহমান।
মূল প্রবন্ধে আব্দুস সোবহান বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বলেছেন, ‘আমরা করপোরেট গর্ভনেন্স- সিজি কমপ্লায়েন্সের ইনডিপেনডেন্ট সার্টিফিকেশনের সাথে কোম্পানির মার্কেট বেজড্ পারফরমেন্সের পজেটিভ সম্পর্ক পেয়েছি। একইভাবে আমরা চার্টার্ড সেক্রেটারি ফার্মের সার্টিফিকেশন প্রদানকারী ও কোম্পানির কর্মক্ষমতার মাঝেও পজেটিভ সংযোগ দেখেছি। একটি পেশাদার ফার্ম কর্তৃক বিসিজিসির সাথে সার্টিফিকেট অব কমপ্লায়েন্স সাধারণভাবে বার্ষিক প্রতিবেদনের কমপ্লায়েন্স রিপোর্টের বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি করে। তবে এ সার্টিফিকেট অব কমপ্লায়েন্সের সুবিধা ফার্মের বৈশিষ্ট্রের উপর নির্ভর করবে এবং এটাও নিশ্চিত যে, করপোরেট গর্ভনেন্স-সিজি সংস্কারে কোন একক আকার সব জায়গায় ফিট করবে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘মূলত ২০০৬-২০০৯ সাল পর্যন্ত এক হাজার ৫৮টি বাংলাদেশি কোম্পানি পর্যবেক্ষণ আমরা কোম্পানির বাজার-ভিত্তিক কর্মক্ষমতার সাথে কমপ্লায়েন্স উইথ সিজি কোডের সম্পর্ক অন্বেষণ করেছি।’
মাহমুদা আক্তার বলেন, ‘বাংলাদেশের আর্থিক বাজার বিশেষ করে পুঁজিবাজারের জন্য করপোরেট গর্ভনেন্স অতন্ত্য গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট তার সূচনালগ্ন থেকে বিনিয়োগ শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছে। একই সাথে বাজারের বিভিন্ন নলেজ গ্যাপগুলো চিহ্নিত করে সার্টিফিকেট প্রেগ্রাম, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ও মাস্টার্স প্রোগ্রাম পরিচালনা করছি। পুঁজিবাজার বিষয়ক প্রয়োজনীয় শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে গবেষণাকেও গুরুত্ব দিচ্ছি।’
মেলিটা মেহজাবিন ও মো. মুশফিকুর রহমান তাদের আলোচনায়, গবেষণাটির বিভিন্ন পরিমাপক ও হাইপোথিসিসসহ বেশ কিছু টেকনিক্যাল বিষয়ে আলোকপাত করেন। ভাল ও খারাপ গর্ভনেন্সের পরিমাপক সুস্পষ্ট নয় প্রবন্ধটিতে। আবার এখানে, নারীদের কোম্পানির বোর্ডে যে পজেটিভ চিত্রায়ন দেখানো হয়েছে, তা আরো আলোচনার দাবি রাখে। কারণ, দেশের অধিকাংশ কোম্পানির বোর্ডে নারীর অংশগ্রহণ পারিবারিক কারণে, যোগ্যতার ভিত্তিতে নয়। তবে, কোড অব করপোরেট গর্ভনেন্সের একটা চেকলিস্ট হওয়া জরুরি।