শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

ধর্ষণের অভিযোগে ভারতে প্রভাবশালী হিন্দু নেতা আটক

রবিবার, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২২

প্রিন্ট করুন

কর্ণাটক, ভারত: ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকের পুলিশ দুইজন অপ্রাপ্তবয়স্ক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দেশটির একজন প্রভাবশালী হিন্দু নেতাকে গ্রেফতার করেছে। আটক হওয়া ওই হিন্দু নেতার নাম শিবমূর্তি মুরুঘা শারানারু। তিনি কর্ণাটকের প্রভাবশালী লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের নেতা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হল- তিনি নিজের প্রতিষ্ঠানেই দুই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেছেন। খবর বিবিসির।

অভিযোগ জানাজানি হলে এ নিয়ে রাজ্যজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদের পর তাকে বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে আটক করা হয়। অবশ্য তার বিরুদ্ধে অভিযোগটি দায়ের করা হয়েছিল আরো ছয় দিন আগেই।

শারানারু তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে একে ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) তাকে আদালতে উপস্থাপন করেছে পুলিশ। আদালত শারানারুকে ১৪ দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন।

৬৪ বছর বয়স্ক এ আধ্যাত্মিক ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে শিশুদের সুরক্ষার জন্য করা সেক্সুয়াল অফেন্সেস অ্যাক্টে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আবার নির্যাতনের শিকার ছাত্রীদের একজন দলিত সম্প্রদায়ের হওয়ায় শিডিউলড ট্রাইব অ্যাট্রোসিটিস অ্যাক্টও তার বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হয়েছে।

লিঙ্গায়েত হল মধ্য বর্ণ। কর্ণাটকের মোট জনসংখ্যার ১৭ শতাংশই এ সম্প্রদায়ের। রাজ্যের রাজনীতিতেও তাদের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। রাজ্যটির বেশিরভাগ মুখ্যমন্ত্রী এসেছেন এ সম্প্রদায় থেকেই।

রাজ্যটিতে প্রায় দুই হাজার লিঙ্গায়েত মঠ আছে; যারা পেশাদার কলেজও পরিচালনা করে। শারানারু চিত্রদুর্গা শহরে মুরুঘা মঠের প্রধান। এটি পুরো রাজ্য জুড়ে প্রায় ১৫০ আধ্যাত্মিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগটি দায়ের করা হয় গত ২৬ আগস্ট। যে দুইজন ছাত্রী অভিযোগ করেছেন তারা মহিশূর শহরে শারানারুর নিজের প্রতিষ্ঠানেই অধ্যয়ন করে।

অভিযোগ অনুযায়ী কয়েক বছরে ধরেই তিনি ওই ছাত্রীদের নির্যাতন করছিলেন। অভিযোগে ওই দুই শিক্ষার্থী বলেছেন, ‘শারানারু তাদের নিজের চেম্বারে ডেকে নিতেন ও তাদের যৌন হয়রানি করতেন।’

অভিযোগটি প্রকাশ্যে আসার পর এ নিয়ে ব্যাপক প্রতিবাদ দেখা দেয় চিত্রদুর্গাসহ কয়েকটি শহরে। এসব বিক্ষোভ প্রতিবাদ থেকে তাকে গ্রেফতারের দাবি উঠতে থাকে। আবার কেউ কেউ তাকে সমর্থনও করেছেন। এর মধ্যে আছেন সাবেক মুখ্য মন্ত্রী বিএস ইয়েদিরুপ্পাও। তার মতে, শারানারুর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্যি নয়।

‘তদন্তে প্রমাণিত হবে যে তিনি নির্দোষ। তদন্তে আরো বেরিয়ে আসবে কারা তাকে এর মধ্যে জড়িয়েছে।’ সাংবাদিকদের বলেছেন তিনি।