টেক্সাস: পাচারের শিকার মার্কিন এক কিশোরীকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও তার ধর্ষকের পরিবারকে দেড় লাখ মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ প্রদানের আদেশ দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। যুক্তরাষ্ট্রের পোল্ক কাউন্টি জেলা জজ ডেভিড এম পোর্টার মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এ রায় ঘোষণা করেন। খবর বিবিসির।
পিপার লুইস ১৫ বছর বয়সে তাকে ধর্ষণের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাত করেছিলেন। ২০২০ সালের জুনে যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া অঙ্গরাজ্যের ডেস মইনসে ঘটনাটি ঘটে।
৩৭ বছর বয়সি জাচারি ব্রুকসকে নৃশংসভাবে হত্যার জন্য প্রাথমিকভাবে তাকে অভিযুক্ত করা হয়। পিপার লুইসের বয়স এখন ১৭।
আদালতে অনিচ্ছাকৃত হত্যাকাণ্ড ও ইচ্ছাকৃত আঘাতের জন্য দোষ স্বীকার করে লুইস। উভয় অভিযোগেই দশ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। কিন্তু লুইসের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয় ও ব্রুকসের পরিবারকে দেড় লাখ মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেয়ার আদেশ দেয়া হয়।
আদালত বলেছেন, ‘যদি লুইস এ আদেশ অমান্য করে, তা হলে তার ২০ বছরের সাজা হতে পারে।’
ব্রুকসকে ৩০ বারের বেশি ছুরিকাঘাত করেছিলেন লুইস। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লুইস তাকে দত্তক নেয়া মায়ের সাথে কথা কাটাকাটির পর বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
পাচারের শিকার হওয়ার আগে ডেস মইনস ভবনের হলওয়েতে ঘুমাচ্ছিল লুইস। তখন ২৮ বছর বয়সি একটি লোক তাকে নিয়ে যান ও যৌনতার জন্য জোর করে অন্য একজনের কাছে পাচার করেন।
লুইস বলেছে, ‘হত্যার আগের সপ্তাহগুলোতে ব্রুকস তাকে একাধিক বার ধর্ষণ করেছেন। ২৮ বছর বয়সি লোকটি লুইসকে ছুরি দেখিয়ে ব্রুকসের অ্যাপার্টমেন্টে যেতে বাধ্য করেছিলেন।
লুইস জানিয়েছিল, তাকে বার বার ধর্ষণ করার কারণে তিনি ক্ষিপ্ত ছিলেন। তাই বিছানার পাশের টেবিল থেকে একটি ছুরি নিয়ে ব্রুকসকে আঘাত করেন তিনি।
পুলিশ ও বিচারকরা লুইসকে যৌন হয়রানি বা পাচার করার বিষয়ে কোন কথা বলেন নি।
বিচারকরা যুক্তি দিয়েছেন, ছুরিকাঘাত করার সময় ব্রুকস ঘুমিয়ে ছিলেন। তাই তাৎক্ষণিকভাবে লুইসের কোন বিপদ ছিল না।
এ ছাড়া ব্রুকসকে হত্যার কারণে তার বাচ্চারা পিতৃহীন হয়েছে। লুইস যেমন নিজেকে ভুক্তভোগী দাবি করছে, তেমনি বাচ্চাগুলোরও কাউকে দায়িত্ব নিতে হবে।
আইওয়া যুক্তরাষ্ট্রের এমন একটি রাজ্য, যেখানে পাচারের শিকার ব্যক্তিদের সুরক্ষা দিতে কোন নিরাপদ আশ্রয় আইন নেই।