ঢাকা: ঢাকার নয়া পল্টনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, নিহত ব্যক্তির নাম মকবুল আহমেদ। তবে তিনি বিএনপির কর্মী কী না তা নিশ্চিত হওয়া যায় নি। মকবুলকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া গণ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘নয়াপল্টন থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে ঢামেকে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত ব্যক্তির মৃতদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত নয়া পল্টনের সংঘর্ষে আহত আটজনকে ঢামেক হাসপাতালে আনা হয়। এদের মধ্যে মকবুল মারা গেছেন। বাকিদের মধ্যে চারজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন রনি, মনির, আনোয়ার ইকবাল ও খোকন।
এ দিকে, নয়া পল্টনে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির দুই নেতাকে আটক করা হয়েছে। বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকালে বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েলকে আটক করা হয়।
এর আগে বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকে আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা মহানগরী গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে জড়ো হতে থাকেন ঢাকার বিভিন্ন অঞ্চলের নেতা-কর্মীরা। অপর দিকে, সকালে থেকেই বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ওই এলাকায় আরো বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
দুপুর আড়াইটার দিকে হঠাৎ করে পুলিশের গাড়িতে হামলা চালায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা। পাশাপাশি সাধারণ পরিবহনের হামলা চালায় তারা। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে এক পর্যায় পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছোঁড়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। পুলিশ টিয়ারসেল নিক্ষেপ করলে সাংবাদিক, বিএনপি নেতা-কর্মী ও পথচারীরসহ কমপক্ষে অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়। এ ঘটনায় ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।