রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

নামজারি প্রক্রিয়া বাতিলের কোন সুযোগ নেই

বুধবার, জানুয়ারী ১৭, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: সম্প্রতি অনলাইনে নানা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে, কিছু ব্যক্তি নামজারি প্রক্রিয়া বাতিল হয়েছে বলে নানা তথ্য এবং ভিডিও কনটেন্ট তৈরি ও শেয়ার দিচ্ছেন। এতে অনেকেই বিভ্রান্ত হচ্ছেন। প্রকৃত তথ্য হচ্ছে, বাংলাদেশের বর্তমান ভূমি ব্যবস্থাপনায় নামজারি প্রক্রিয়া বাতিলের কোন সুযোগ নেই।

রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৫০ এর ১৪৩ (গ) ধারায় খতিয়ান সংশোধনের পদ্ধতি সম্পর্কে বলা আছে, ‘ধারা ৮৯ এর অধীন নোটিশ প্রাপ্তির পর, রাজস্ব কর্মকর্তা খতিয়ানে নামজারির জন্য একটি নথি খুলিবেন ও নামজারির জন্য জোতের সহ-অংশীদারগণের প্রতি নোটিশ জারি করিবেন।’

প্রজাস্বত্ত্ব বিধিমালা ১৯৫৫-এর আ, নয় ও ২৩ ধারাতেও নামজারির কথা বলা হয়েছে।

সরকার জনগণের সুবিধার্থে ও ভোগান্তি কমাতে নামজারি প্রক্রিয়া সহজ করার উদ্যোগ নিয়েছে। জমি কেনা কিংবা অন্য কোনভাবে মালিকানা পরিবর্তন পরবর্তী ভূমি নিবন্ধনের পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে নামজারি সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করা হয়েছে রেজিস্ট্রেশন-মিউটেশন আন্তঃসংযোগ’ এর মাধ্যমে।

প্রধানমন্ত্রী গেল ২৯ মার্চ রেজিস্ট্রেশন-মিউটেশন আন্তঃসংযোগ কার্যক্রম উদ্বোধনের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় নামজারি প্রক্রিয়া কার্যক্রম শুরু করেন। বর্তমানে দেশের ১৭টি উপজেলায় এই কার্যক্রম চলছে। শিগগিরই দেশব্যাপী বাস্তবায়ন করা হবে রেজিস্ট্রেশন-মিউটেশন আন্তঃসংযোগ।

বলে রাখা ভাল, নামজারি বা মিউটেশন হচ্ছে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে মালিকানা পরিবর্তন করা। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোন বৈধ পন্থায় ভূমি/জমির মালিকানা অর্জন করার পর তা নিবন্ধন (রেজিস্ট্রেশন) করে সরকারি রেকর্ড সংশোধন করে তার নামে রেকর্ড আপটুডেট (হালনাগাদ) করাকেই নামজারি বলা হয়।

কোন ব্যক্তির নামজারি সম্পন্ন হলে তাকে একটি খতিয়ান দেয়া হয়, যেখানে তার অর্জিত জমির একখানি সংক্ষিপ্ত হিসাব বিবরণী উল্লেখ থাকে। দুইটি জরিপ কার্যক্রমের মধ্যবর্তী সময়ে রেকর্ড সংশোধন করা হয় নামজারির মাধ্যমে। জমির মালিকানা প্রমাণের অন্যতম প্রধান শর্ত সরকারি রেকর্ডে/খতিয়ানে নাম থাকা।