ওয়াশিংটন: বাংলাদেশের চট্টগ্রামের মেয়ে আদিবা সাজেদ সারা যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যারোনাটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (নাসা) অর্থায়নে এর ল্যাবে গবেষণার সুযোগ পেয়েছেন। আদিবার মা রওশন হক মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের এক পোস্টে তার এ সফলতা তুলে ধরেন। যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল ইউনিভার্সিটির প্রতিনিধি হিসেবে আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব অ্যারোনাটিক্স অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোনাটিকস (এআইএএ) আয়োজিত সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (সাইটেক) ফোরামে অংশ নেন আদিবা। ওই প্রতিযোগিতা থেকে ১৩ জন নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের একজন হলেন আদিবা।
নির্বাচিতরা নাসার ল্যাবে গবেষণার পাশাপাশি পড়ালেখার জন্য অর্থ পেয়ে থাকেন। এআইএএ সাইটেক ফোরামের প্রতিনিধিদের মধ্যে ৪৩টি দেশের প্রায় এক হাজার করপোরেট, একাডেমিক ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের দেড় হাজারের বেশি স্নাতক, স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী ও মহাকাশ পেশাদাররা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
রওশন হক লিখেছেন, ‘আদিবা সাজেদ পুরো পৃথিবীর ১৩ জনের মধ্যে একজন সিলেক্ট হয়ে এ পোগ্রামে জয়েন করার সুযোগ পেয়েছে। আপনারা জেনে খুশি হবেন, কর্নেল ইউনিভার্সিটি তাদের ইউনিভার্সিটিকে রিপ্রেজেন্ট করতে একমাত্র আদিবাকেই মনোনীত করে এ প্রোগ্রামে পাঠিয়েছে। কারণ, গত দুই বছর ধরে সে পড়াশুনার পাশাপাশি নাসার মনোনীত কর্নেল ইউনিভার্সিটির এরোস্পেস ইন্জিনিয়ারিং ল্যাবে কাজ করছিল। গত দুই বছরের ভাল রেজাল্ট ও কর্মদক্ষতার কারণে কর্নেল ইউনিভার্সিটি আদিবাকে এ সুযোগ দেয়। এর আগে এ পোগ্রামে জয়েন করার জন্য তাকে অনেকগুলো পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। সে নাওয়া খাওয়া ভুলে পাগলের মত পড়ে নাসার সব পরীক্ষা ভালভাবে পাশ করে। এবার নাসার গবেষণা ল্যাবে জগৎবিখ্যাত সব বিজ্ঞানী ও গবেষকদের সাথে কাজ করবার জন্য সে সিলেক্ট হয়েছে।’
আদিবা ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল ইউনিভার্সিটিতে ফিজিকসে ভর্তি হন। সেখানে এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে তৃতীয় সেমিস্টারে পড়াশোনা করছেন। প্রথম বর্ষ শেষ করার পর তিনি অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠেন।
আদিবার জন্ম চট্টগ্রামে। সেখানে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়ার পর পরিবারের সাথে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। তখন থেকে দেশটিতে বসবাস করছেন।