বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

নিউইয়র্কে উলামায়ে কেরামের সাথে শায়খ হাম্মাদ গাজিনগরীর মতবিনিময়

সোমবার, ডিসেম্বর ২, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: ‘বাংলাদেশ একটি ক্রান্তিকাল পার করছে। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা একের পর এক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশটিকে অস্থিতিশীল করে তুলতে চাইছে। বাংলাদেশের পরীক্ষিত শত্রুরা বাইরে বসে বাংলাদেশকে অশান্ত করে তুলার মাধ‍্যমে তাদের আধিপত্য পুন:বিস্তার করতে চায়। এ অবস্থায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং ধর্ম-বর্ণ ও জাতি নির্বিশেষে সব মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশের উলামায়ে কেরামকে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের পক্ষে দাঁড়াতে হবে।’

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কসে অনুষ্ঠিত উলামায়ে কেরামের সাথে শায়খ হাম্মাদ গাজিনগরীর মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

মুহাদ্দিসে গাজিনগরী ফাউন্ডেশন নর্থ আমেরিকা ‘বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট ও ইসলামী রাজনীতি’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে। দারুল আহনাফ নিউইয়র্কের প্রিন্সিপাল মাওলানা হামিদুর রহমান আশরাফের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিক শায়খ হাম্মাদ গাজিনগরী।

সভায় বক্তব্য দেন ইউনাইটেড ইমাম এন্ড উলামা কাউন্সিল অব নিউইয়র্কের প্রেসিডেন্ট শায়খ রফিক আহমদ রেফাহি, দারুল কুরআন ওয়াস সুন্নাহ নিউইয়র্কের মুহাদ্দিস মাওলানা ইব্রাহীম আলী কাসেমী, দারুল হাদিস লতিফিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবুল কাশেম ইয়াহইয়া, আইটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাওলানা শহীদুল্লাহ, লেখক রশীদ জামীল, মাওলানা ফাহাদ আমান, শেখ সাজ্জাদুর রহমান, মশকুর আহমদ ও নাজমুল হাসান নুমান, আহমদ জারীর।

সভায় শায়খ হাম্মাদ গাজিনগরী দেশের অবস্থা তুলে ধরে বলেন, ‘১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতার মূল স্পৃহা ছিল ইসলাম। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের মূল স্পৃহাও ছিল ইসলাম। আর ইসলামের অতন্দ্র প্রহরী হলেন উলামায়ে কেরাম। সুতরাং, বাংলাদেশ উলামায়ে কেরামের হাতেই নিরাপদ।’

তিনি বাংলাদেশের উলামায়ে কেরামকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশরক্ষায় ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এই সংকটকালে আলেম সমাজ যদি পরস্পর হাতে হাত না রাখতে পারেন, তাহলে ইতিহাস তাদেরকে ক্ষমা করবে না।’

সভায় বক্তারা অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা কোন রকম বিদেশি সাহায্য ছাড়া বাংলাদেশেকে গণঅভ্যুত্থানের মাধ‍্যমে দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করেছে। কিন্তু, অত‍্যন্ত দুঃখজনকভাবে আমরা লক্ষ্য করছি, এখনো বাংলাদেশের কিছু কিছু দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন‍্য এখন থেকেই বিদেশিদের তোষণ করতে শুরু করেছে। বিশেষত, কিছু নির্লজ্জ নেতা বাংলাদেশের পরীক্ষিত শত্রু ভারতকে খুশি করে কথা বলছেন। আজকের সভা থেকে আমরা অত্যন্ত পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, ২৪’-এর বাংলাদেশ একটি নতুন বাংলাদেশ। এ বাংলাদেশের দিকে আর কোন আধিপত্যবাদী গোষ্ঠীকে চোখ তুলে তাকাতে দেওয়া হবে না। এ বাংলাদেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদকে ফের কেউ আমন্ত্রণ জানাতে চাইলে তাকেও বাংলাদেশের মানুষ ঝাটিয়ে বিদায় করবে।’